প্রতিপদের রাতের প্রবল বৃষ্টিতে কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল কলকাতা। যাদবপুর, পার্কসার্কাস, তারাতলা, একবালপুর, ভবানীপুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা জলে টইটম্বুর হয়ে ওঠে। সেই জমা জলই মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়। মোমিনপুর, নেতাজিনগর, ঠাকুরপুকুর-সহ একাধিক এলাকায় মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। এর মধ্যে কলকাতার ৭ জন।
মুখ্যমন্ত্রীর সমবেদনা
মেয়রের ফোনেই মৃতদের পরিবারের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শোক প্রকাশ করে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
মৃতদের পরিবারের বাড়িতে মেয়র
বুধবার সকালে মোমিনপুরে মৃত জিতেন্দ্র সিংয়ের বাড়িতে যান কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কথা বলেন তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। সেখান থেকে ঠাকুরপুকুরে গিয়ে দেখা করেন মৃত শুভ প্রামাণিকের পরিবারের সঙ্গে।
মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ সিইএসসি-র প্রতি
এর আগে মঙ্গলবারই বিদ্যুতের খুঁটি ও তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনায় বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থা সিইএসসি-কে দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, সিইএসসি-র উদাসীনতার বলি হয়েছেন এই ৮ জন। ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন,
“সিইএসসি-র উচিত মৃতদের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া। এখানে ব্যবসা করছে, কিন্তু আধুনিকীকরণের কাজ করছে না। বলতে বলতে আমার মুখ ব্যথা হয়ে গিয়েছে।”
প্রবল বৃষ্টিতে মৃত্যুর ঘটনায় শোকস্তব্ধ শহর। প্রশাসন জানিয়েছে, মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।