সম্প্রতি বাংলা তথ্যচিত্র ‘কুমোরটুলির গল্প’ প্রদর্শিত হল বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের কনফারেন্স রুমে। ১৭ মিনিটের এই তথ্যচিত্রটি পরিচালনা করেছেন সমীর সমু। প্রায় ৩০০ বছরের কুমোরটুলির পথচলা তুলে ধরা হয়েছে এখানে। ঐতিহাসিক এই তথ্যচিত্রটি প্রাণ পেয়েছে ডা: জয়ন্ত গুপ্তের ভাষ্যপাঠে। কবে প্রথম দুর্গাপুজো হয়েছিল ! পরবর্তী সময়ে ১৭৫৭ সালে শোভাবাজার রাজবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা রাজা নবকৃষ্ণ দেব কলকাতায় দুর্গাপুজো শুরু করেন। সে সময় কুমোররা জানতেন না যে সিংহ কেমন দেখতে হয়।

তাই নবকৃষ্ণ দেবের বাড়ির দুর্গা প্রতিমায় সিংহের স্থানে ঘোড়ার রূপ দেওয়া হয়। সেটি আজও চলে আসছে। নবকৃষ্ণ দেবই প্রথম কৃষ্ণ নগরের মৃৎ শিল্পীদের কলকাতায় নিয়ে আসেন। পরবর্তীকালে পুজো বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে কৃষ্ণ নগর থেকে অনেক মৃৎ শিল্পীর আগমন ঘটতে থাকে। তাই মৃৎ শিল্পীদের মহল্লা হিসেবে কুমোরটুলি বিশেষ পরিচিতি লাভ করে। তবে সব কিছুর উন্নতি হলেও মৃৎ শিল্পীদের অবস্থা ক্রমেই খারাপ হতে থাকে।

একদিকে তাদের দৈন্য অবস্থা আর অন্যদিকে শিল্পী হিসেবে তাঁদের মর্যাদার লড়াই চলতে থাকে। ডাঃ জয়ন্ত গুপ্তের গমগমে কন্ঠস্বর তথ্যচিত্রটিকে একটা অন্য মাত্রা দিয়েছে। এই তথ্যচিত্রটির গবেষণার কাজ করেছেন ডাঃ রত্না গুপ্ত এবং ডাঃ বিপ্লব নন্দী। পরিচালক সমীর সমু তথ্যচিত্রটির চিত্রনাট্য এবং সঙ্গীতের দায়িত্বও সামলেছেন। সঙ্গীত পরিচালনার কাজ বহুদিন ধরে করলেও পরিচালক হিসেবে এটি তাঁর প্রথম কাজ। তথ্যচিত্রটি নিয়ে তিনি দারুণ আশাবাদী। তথ্যচিত্রটিকে কোথাও সাজানো হয়েছে অভিনয় দিয়ে আবার কোথাও ঝাঁ চকচকে বেশ কিছু গ্রাফিক্সের ব্যবহার করা হয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন তিতলি, বাবান প্রমুখ। তথ্যচিত্রটির প্রযোজক মিত্রানি বিশ্বাস।