মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি বিজেপি-কে আক্রমণ করে বলেন, “প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ‘রাম রাজ্য’-র, পরিবর্তে এখন ‘কিলিং রাজ’ চালাচ্ছে”।
ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে কৃষক হত্যার ঘটনায় যোগী সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ “কিলিং রাজ” চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এই ঘটনার পরেই তৃণমূলের প্রতিনিধি দল লখিমপুরের উদ্দেশে সোমবার রওনা দেয়। এ দিন ভবানীপুরের শীতলা মন্দির ও গুরুদুয়ারায় যান মমতা। গুরুদুয়ারা থেকে বেরিরেই লখিমপুরের প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
লখিমপুরের ঘটনার পরপরই টুইট করেছিলেন মমতা। টুইটবার্তায় নিহতদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়ে যোগী সরকারের তীব্র নিন্দা করেছিলেন। লেখেন, “লখিমপুর খেরির বর্ররোচিত ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করছি। কৃষকদের প্রতি বিজেপি-র উদাসীন মনোভাব আমাকে গভীর যন্ত্রণা দিয়েছে। আগামীকাল (সোমবার) তৃণমূলের পাঁচ সাংসদের দল আক্রান্ত কৃষক পরিবারের সঙ্গে দেখা করবে। আমাদের কৃষকদের আমরা নিঃশর্ত সমর্থন করছি”।
গতকাল ভবানীপুর উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়। বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ের পর এ দিন লখিমপুর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “আজ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের ঘটনাস্থল পর্যন্ত যেতে দেয়নি যোগীর পুলিশ। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি। এমনকী কথা বলতে পর্যন্ত যেতে দেয়নি। সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছে। বিজেপি সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়। একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাসী”। তিনি আরও বলেন, “হাথরসেও আমাদের প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলাম। অসমে এনআরসির জন্য আমাদের লোকজন গিয়েছিলেন। বিজেপি শাসিত এই দুই রাজ্যেই আমাদের কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যেখানে যেখানে ক্ষমতায় আছে, সেখানেই এই সব করছে। মানবাধিকার বলে কিছু নেই”।
উল্লেখ্য, গত রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আকাশ মিশ্রর গাড়ির ধাক্কায় আন্দোলনরত কৃষকদের মৃত্যুর অভিযোগ উঠতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তরপ্রদেশ। সেই ঘটনা নিয়েই এখন তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি।