প্রথম পাতা খবর দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে আম আদমি পার্টির সাত বিধায়কের ইস্তফা

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে আম আদমি পার্টির সাত বিধায়কের ইস্তফা

225 views
A+A-
Reset

নয়াদিল্লি: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র পাঁচ দিন আগে আম আদমি পার্টির সাতজন বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁরা কেউই এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার টিকিট পাননি।

যাঁরা ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নরেশ যাদব (মেহরৌলি), রোহিত কুমার (ত্রিলোকপুরী), রাজেশ ঋষি (জনকপুরী), মদনলাল (কস্তুরবা নগর), পবন শর্মা (আদর্শ নগর), ভাবনা গৌড় (পালাম) এবং বিএস জুন (বিজওয়াসন)। বিজওয়াসনের বিধায়ক বিএস জুন প্রথম ইস্তফা দেন।

পালামের বিধায়ক ভাবনা গৌড় তাঁর ইস্তফাপত্রে দলের প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি লেখেন, কেজরিওয়ালের ওপর বিশ্বাস হারিয়েছেন।

আগে মেহরৌলি বিধানসভায় আপের প্রার্থী ছিলেন নরেশ যাদব। কিন্তু গত ডিসেম্বরে পঞ্জাবের একটি আদালত তাঁকে ধর্মগ্রন্থ অবমাননার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়। এরপর, ৫ ফেব্রুয়ারির দিল্লি নির্বাচনের জন্য ঘোষিত আপের পঞ্চম তালিকায় তাঁর পরিবর্তে মহেন্দ্র চৌধুরীকে মেহরৌলি থেকে প্রার্থী করা হয়।

নিজের ইস্তফাপত্রে আপকে সততার রাজনীতি থেকে সরে আসার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন নরেশ যাদব। তিনি বলেন, দল যে দুর্নীতি কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা রক্ষা না করে বরং নিজেরাই দুর্নীতির গভীর কাদায় জড়িয়ে পড়েছে। এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি আপের বিতর্কিত দিল্লি আবগারি নীতি কেলেঙ্কারির দিকে ইঙ্গিত করেন, যেখানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া মাসের পর মাস জেলে কাটিয়েছেন।

ত্রিলোকপুরীর বিধায়ক রোহিত কুমার মেহরৌলিয়া এক্স-এ (আগের টুইটার) পোস্ট করে জানান, তিনি আন্না হাজারের দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের সময় আপে যোগ দিয়েছিলেন, দলিত ও বাল্মিকি সম্প্রদায়ের জন্য সামাজিক ন্যায়বিচারের আশা নিয়ে।

তাঁর অভিযোগ, আপ প্রতিশ্রুতি দিলেও, চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক ব্যবস্থা বাতিল কিংবা অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী করার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে ব্যর্থ হয়েছে।

জনকপুরীর বিধায়ক রাজেশ ঋষিও দল ছাড়ার পেছনে আপের মূল নীতিগুলো থেকে সরে যাওয়ার অভিযোগ করেন। নিজের ইস্তফাপত্রে তিনি লেখেন, দল এখন দুর্নীতিমুক্ত শাসন ও স্বচ্ছতার আদর্শকে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ৫ ফেব্রুয়ারি, আর ভোট গণনা হবে ৮ ফেব্রুয়ারি।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.