কলকাতা: আইপিএলের ধাঁচে যে উইমেন প্রিমিয়ার লিগ হয়, সেখানে ২২ গজে দিল্লি ক্যাপিটালের হয়ে খেলতে দেখা যাবে অপর্ণা মণ্ডলকে। কঠিন লড়াইয়ের পর সাফল্য এসেছে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম বিবেকানন্দ নগরের বাসিন্দা বছর সাতাশের অপর্ণার জীবনে।
বর্তমানে রেলে চাকরি করেন অপর্ণা। এখন তিনি চেন্নাইয়ে কর্মরত। তিনি অলরাউন্ডার। উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে দিল্লি ক্যাপিট্যালস তাঁকে কিনেছে উইকেটরক্ষক হিসেবে। গত বছর ক্রিকেট দলে নাম থাকলেও মাঠে নামতে দেখা যায়নি তাঁকে। তবে এ বার অপর্ণার নাম রয়েছে অনেকটাই উপরের সারিতে। ফলে এবছর অপর্ণাকে দেখা যাবে দিল্লি ক্যাপিটালস টিমের উইকেট কিপারের দায়িত্ব সামলাতে। টিভি স্ক্রিনে মেয়ের খেলা দেখতে পাবেন ভেবেই উচ্ছ্বসিত গোটা পরিবার।
অপর্ণার ২২ গজের লড়াইটা শুরু হয়েছিল অনেকটা আগেই। পরিবারের আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় পড়তে হয় নানা সমস্যায়। তবে অপর্ণার জেদ, কঠিন লড়াই, নিজেকে প্রমাণ করার অদম্য ইচ্ছা আজ এই সাফল্য এনে দিয়েছে তাকে। অপর্ণার বাবা দিলীপকুমার মণ্ডলের একটি ছোট ব্যবসা করেন। দু’মেয়ের মধ্যে অপর্ণা ছোট। খেলাধুলার প্রতি খুব ঝোঁক ছোটবেলা থেকেই। মধ্যমগ্রাম গার্লস স্কুলে পড়াশোনা, স্কুলেও খেলাধুলায় তার সুনাম ছিল। শুরুটা হয়েছিল পাড়ায় ব্যাট আর প্ল্যাস্টিকের বল নিয়ে।
কলকাতায় অনুশীলন শুরুর দু’বছরের মধ্যে অপর্ণা বেঙ্গল জুনিয়র টিমে সুযোগ পেয়ে যান। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ডানহাতে ব্যাট করেন। উইকেটকিপিং করেন সমানতালে। বাংলার সিনিয়র টিম, তারপরে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে টিমে সুযোগ পেয়ে যান অচিরেই। ২০২০ সালে ইন্ডিয়ান রেলওয়েতে চাকরি মেলে অপর্ণা মণ্ডলের।
তারপর তামিলনাড়ুর হয়ে খেলা, আর এবার দেখা যাবে দিল্লি ক্যাপিটালস এর হয়ে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে উইকেটকিপার হিসেবে। তিনি জানিয়েছেন, বাংলার ঝুলন গোস্বামী তাঁর অনুপ্রেরণা, সাহায্যও করেছেন খেলার ক্ষেত্রে। গত বছর দিল্লি ক্যাপিটালস রানার্স আপ হয়েছিল, তবে এ বছর চাম্পিয়ন হবে বলেই আশাবাদী অপর্ণা।