সামনেই রয়েছে বাঙালীর অন্যতম প্রধান তীর্থ গঙ্গাসাগর ও মেলা ২০২২ । এবার এই বিশাল মেলা ও উৎসবের প্রস্তুতি পর্ব ঠিক কেমন চলছে , সেটাই একেবারে স্বচক্ষে ঘুরে দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মুখ্যমন্ত্রীর সেই ইচ্ছে মতই এবার গঙ্গাসাগর যাওয়ার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করে ফেলেছে রাজ্য প্রশাসন। জানা গিয়েছে আপাতত দুদিনের সফরে গঙ্গা সাগর যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিসেম্বরের ২৯ তারিখে গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
সদ্য বিধানসভা ও কলকাতা পুরসভায় বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ফের একবার ক্ষমতার অলিন্দে জায়গা করে নিয়েছে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস। দেখা গিয়েছে, পুর নির্বাচনের আগে কিংবা কলকাতা পুরভোটের ফল প্রকাশের দিনেও মুখ্যমন্ত্রীর মুখে বারবার শোনা গিয়েছে সাধারণ মানুষের কথা। দলীয় নেতৃত্বের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল, সাধারণ মানুষ যে দায়ভার আমাদের উপর দিয়েছে, সেই কাজ আরও বেশী ভালভাবে করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর সেই কথা যে কেবলই কথার কথা ছিল না, সেটাই যেন প্রমানিত হচ্ছে তাঁর এই গঙ্গাসাগরের প্রস্তুতি পর্ব নিজের চোখে ক্ষতিয়ে দেখার সিদ্ধান্তে। অর্থাৎ এক কথায় বলা যেতে পারে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া। যেটা মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বরাবরই করে এসেছেন। তা সে দুর্গাপুজো, ছটপুজো,ইদ কিংবা বড়দিন সব ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে তাঁর এই আন্তরিকতা।
রাজ্য়ের প্রধান প্রধান উৎসব গুলির মধ্য়ে গঙ্গাসাগর মেলার স্থান অবশ্য়ই থাকবে উপরের দিকে। কারণ, গঙ্গাসাগর মেলায় শুধুমাত্র এই রাজ্য়ের মানুষই নন, অংশ নিতে ছুটে আসেন ভিন রাজ্য়ের বহু মানুষও। আর তাই এই মেলার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সুবিধা অসুবিধার বিষয়গুলি ভাল ভাবে ক্ষতিয়ে দেখার জন্য় প্রত্য়েকবারই বিশেষভাবে তৎপর থাকেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু তারপরেও প্রতিবারই শোনা যায় বেশ কিছু অভিযোগের কথা। আর তাই এবার আর অন্য়দের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল না হয়ে একেবারে নিজেই সবকিছু পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ক্ষতিয়ে দেখে নিতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।