কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যপাল লা গণেশনের আমন্ত্রণে বুধবার দুপুরে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা বিমানবন্দরের বাইরে দাঁড়িয়ে গুজরাতের সেতু বিপর্যয় নিয়ে মুখ খুললেন তিনি।
গুজরাতের মোরবী সেতু ভেঙে পড়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মমতা বলেন, ‘‘অসম্পূর্ণ সেতুকে সম্পূর্ণ বলে দেখিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। আমার মনে হয় এর জন্য সুপ্রিম কোর্টের অধীনে বিচারবিভাগীয় কমিশন হওয়া উচিত। এর বেলায় কেন ইডি-সিবিআই দেখছে না?’’
মমতা আরও বলেন, “কোনো দুর্ঘটনায় আমাদের হাতে থাকে না। কোনো সরকার কোনো দুর্ঘটনা ঘটায় না। কিন্তু যাঁদের কাজ দেওয়া হয়, যাঁরা কাজ করে, সেটি দেখা দরকার। আমাদের এখানে যে মৃত্যু হয়েছিল, সেই সময় আমি মেদিনীপুরে ছিলাম। আমি খড়গপুর থেকে ফিরে এসে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু ওখানে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে… সরকার তাঁদের ঠিক ভাবে সাহায্য করতে পারেনি। কারণ, তারা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত।”
সামনে গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচন। সেই ভোটের প্রসঙ্গ টেনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আসলে ভোটের জন্যই এটা হয়েছে, সার্টিফিকেট পাওয়ার আগেই খুলে দেওয়া হয়েছিল সেতু। কিন্তু এটা ঠিক নয়। সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে খেলা করা উচিত নয়, যারা এতগুলো মানুষের জীবন নিয়ে খেলেছে, তাদের দায় নেওয়া উচিত।’’
পশ্চিমবঙ্গে বহু মামলার তদন্তে এই মুহূর্তে কাজ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি। সেই প্রসঙ্গ টেনেই মমতা বলেন, ‘‘ইডি-সিবিআই সাধারণ মানুষের পিছনে পড়ে রয়েছে, অথচ এদের মতো অপরাধীদের ক্ষমা করছে কেন? যে ঠিকাদার ছিল বা টেন্ডার যারা দিয়েছিল, তারা তো অপরাধী!’’
উল্লেখ্য, গত রবিবার সন্ধ্যায় আচমকা ভেঙে পড়ে ওই ঝুলন্ত সেতু। বাড়তে থাকে মৃতের সংখ্যা। সর্বশেষ খবর, ১৩৫ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ভেঙে পড়ার সময় সেতুতে থাকা ১৭৭ জনকে।
আরও পড়ুন: মমতা-স্টালিন বৈঠকে কী বার্তা, জোর চর্চা জাতীয় রাজনীতিতে