কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে অব্যাহত দুর্যোগ। ইতিমধ্যেই একাধিক মৃত্যুর খবর উঠে এসেছে। কলকাতা-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এখনও পর্যন্ত অন্তত ৬ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
এ দিন নিজের এক্স (আগের টুইটার) হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘এবারও সাইক্লোন রেমালের প্রভাবে আমাদের রাজ্যে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হল ও হচ্ছে। কিন্তু সবার উপরে মানুষের জীবন। সৌভাগ্যক্রমে এবং অবশ্যই রাজ্য প্রশাসনের তৎপরতায় এবার জীবনহানি তুলনামূলকভাবে অনেক কম।’ ঝড়-বৃষ্টির দুর্যোগের মধ্যে যাঁরা নিজেদের কাছের মানুষকে হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বজনহারাদের আর্থিক সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি যাঁদের ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে, তাঁদেরও পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন মমতা।
জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের মেমারির বাসিন্দা ফড়ে সিংহ ও তরুণ সিংহের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে। ঝড়ে উপড়ে যাওয়া কলাগাছ কাটতে গিয়ে প্রাণ হারান বাবা ও ছেলে। মৌসুনি দ্বীপে ৮০ বছরের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। নাম রেণুকা মণ্ডল। রবিবার রাতে কলকাতার এন্টালিতে একটি বাড়ির কার্নিস ভেঙে পড়লে মৃত্যু হয় ৫১ বছর বয়সি মহম্মদ সাজিবের। উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে গোপাল বর্মণ নামে ৪৭ বছর বয়সি ব্যক্তির মৃত্যু হয় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশপুরের নুঙ্গিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাপসী দাস নামে ৫৩ বছরের এক মহিলার, তিনি মহেশতলা পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।