নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই দায়িত্ব নিয়েছেন অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কী। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলার উত্তরবঙ্গ ও নেপালের দূরত্ব কম হওয়ায় প্রতিবেশী দেশের অস্থিরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে সুশীলা কার্কীর দায়িত্ব নেওয়ায় তিনি আশাবাদী বার্তা দিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডলে লেখেন— “নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান সুশীলা কার্কীকে শুভেচ্ছা জানাই। বাংলা-নেপালের সীমান্ত ঘেঁষে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। প্রতিবেশীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের বাঁধন ও সহযোগিতার সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হোক।”
প্রসঙ্গত, প্রবল গণআন্দোলনের জেরে চারদিন আগে পতন হয়েছে কেপি শর্মা ওলির সরকারের। এরপর ৫ হাজারেরও বেশি তরুণ আন্দোলনকারী ভারচুয়াল বৈঠকে কার্কীর নাম অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রস্তাব করে। তাঁর শর্ত ছিল অন্তত ১,০০০ লিখিত সমর্থনপত্র। শেষ পর্যন্ত ২,৫০০-র বেশি সমর্থন সংগ্রহ হওয়ায় তিনি সম্মত হন। এরপর সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল এবং রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেলের অনুমোদন পেয়ে দায়িত্বভার নেন তিনি।
শুক্রবার রাতে কাঠমান্ডুর রাষ্ট্রপতি ভবন শীতল আবাসে রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে শপথ নেন নেপালের ইতিহাসে প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি পদে আসীন হওয়া এই প্রাক্তনী। সুশীলা কার্কী ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়েরও প্রাক্তন ছাত্রী।
‘জেন জি’ আন্দোলনের জেরে ওলি সরকারের পতনের পর এখন দেশকে নতুন পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব তাঁর কাঁধেই।