স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্না মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: রাজীব বসু
কলকাতা: শনিবার দুপুরে যখন বৃষ্টির মধ্যে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা, সেই সময় আচমকাই সেখানে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলনকারীদের শান্ত করে তাঁদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি সব হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিলাম। এবার থেকে অধ্যক্ষদের চেয়ারম্যান করে নতুন রোগী কল্যাণ সমিতি গঠন করা হবে। সেই সমিতিতে থাকবে জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার, নার্স, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ।” তিনি আরও জানান, আরজি কর হাসপাতাল সহ রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতি নতুন করে গঠন করা হবে।
এতদিন পর্যন্ত এই সমিতির চেয়ারম্যান পদে স্থানীয় বিধায়ক বা সাংসদকে বসানো হত, যা নিয়ে বিরোধীদের তরফে অভিযোগ উঠেছিল যে দলীয় প্রশাসন এই সমিতির মাধ্যমে চালানো হচ্ছিল। এবার সেই সমিতির চেয়ারম্যান পদে অধ্যক্ষদের বসানোর সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকে।
গত মঙ্গলবার থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা বারবার ভেস্তে যায়। তবে, শনিবার মুখ্যমন্ত্রী নিজেই আন্দোলন মঞ্চে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন।
এর আগেই ৯ সেপ্টেম্বর নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রোগী কল্যাণ সমিতি নিয়ে বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি জানান, রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে হাসপাতালের অধ্যক্ষকে রাখার পাশাপাশি এক জন সিনিয়র ডাক্তার, এক জন জুনিয়র ডাক্তার, এক জন নার্স, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং থানার পুলিশ আধিকারিককে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এদিকে, আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে থাকা তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে সম্প্রতি সিবিআই হানা দেয়। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।