প্রথম পাতা খবর ৬ মাস ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন না শ্রমিকরা, আমি দিল্লি যাব, মমতা

৬ মাস ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন না শ্রমিকরা, আমি দিল্লি যাব, মমতা

402 views
A+A-
Reset

বুধবার দুর্গাপুরে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বিজেপিকে আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী। গ্রামীণ রাস্তা ও বাংলার বাড়ির জন্য টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। রাজ্যবাসীকে প্রাপ্য পাইয়ে দিতে দিল্লি যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।

বুধবার দুপুরে পূ্র্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ডিএম, এসপি, বিডিও, বিধায়ক, সাংসদরা ছিলেন। সেই সভা থেকে একাধিক ইস্যুতে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “গ্রামীণ রাস্তা, বাংলার বাড়ি, ১০০ দিনের কাজ, অনেক সমস্যা। ৬ মাস ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন না শ্রমিকরা। যেখানে ১৫ দিনের মধ্যেই টাকা দেওয়ার কথা।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বার বার বলা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি নিয়ে কিছুই করছে না। ফলে বাধ্য হয়ে আমাদের বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে। তিনি বলেন, “ডিএম’দের কাছে আমার অনুরোধ, পিডব্লিউডি, জলধরো জলভরো-সহ যে সকল প্রকল্পের কাজে বাইরের লোক ব্যবহার করা হয়, সেখানে আপাতত জব কার্ড যাঁদের রয়েছে, তাঁদের নেওয়া হোক।” পাশাপাশি পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস  করলেন, আর এর মাঝেই পুর ও পঞ্চায়েত সদস্যদের উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যেতে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন দুর্গাপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ”এখানে সিবিআই-এর কেস চলছে তোমরা জানো। বীরভূমের টোটো চালককেও ডেকেছে। ডক্টর অভিজিৎ চৌধুরী চিকিৎসককে ডাকা হয়েছে। সবাইকে ডেকে হেনস্থা করা হচ্ছে। ৬ মাস ধরে ১০০ দিনের টাকা পাচ্ছে না।

আরও পড়ুন: উদয়পুরে দর্জির মাথা কেটে নৃশংস খুনের ঘটনায় সরব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

এদিনও মুখ্যমন্ত্রী জানান, একটা দরজা বন্ধ থাকলে আর একটা দরজা খোলা রাখতে হয় তাই, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের মাধ্যমে একশো দিনের কাজ চালিয়ে যাওয়া হবে। একইভাবে জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতিগুলোকে অন্যান্য কাজ বাদ দিয়ে গ্রামীণ সড়ক এবং বাংলার বাড়ি প্রকল্পের কাজে অগ্রাধিকার দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা এই দুই প্রকল্পে বেশি করে টাকা খরচ করুন। বাকি কাজগুলো আমরা দেখে নেব।

এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আবাস যোজনা এবং গ্রামীণ সড়ক যোজনায় কেন প্রধানমন্ত্রীর নাম রাখা হয়নি সেই কারণে প্রকল্প আটকে দেওয়া হয়েছে । যদি গুজরাত বা রাজস্থানের নাম থাকতে পারে তাহলে বাংলার ক্ষেত্রে কেন বাংলা আবাস যোজনা নাম রাখা যাবে না।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.