কলকাতা: বৃহস্পতিবার জোড়াসাঁকো থেকে শুরু হয়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ হয়ে পুজোর শোভাযাত্রা পৌঁছোয় রেড রোডে। সেখানে আয়োজিত অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা,”আমাদের একটাই ধর্ম মানবতা”।
গত বছর রাজ্যের দুর্গাপুজোকে ‘ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’র তালিকায় স্থান দিয়েছে ইউনেসকো। তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোর সময় জোড়াসাঁকো থেকে শুরু হয় পদযাত্রা। রেড রোডের অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধি-সহ রাজ্যের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। পাশে মঞ্চে হাজির থেকে পুজোর উৎসবে হাজির ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েই তিনি ইউনেসকোর প্রতিনিধি দলের সদস্যদের শহরে স্বাগত জানান। বলেন, এই শহরের আতিথেয়তা উপভোগ করার কথা।

উপস্থিত বিশিষ্টজনদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ইউনেসকো প্রতিনিধি দলের সদস্যদের পাশাপাশি তিনি উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে নেন তপতী গুহঠাকুরতাকে। ইউনেসকোর স্বীকৃতি পাওয়ার নেপথ্যে বড় অবদান রয়েছে এই শিক্ষিকার।
ব্কতৃতা করার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন যেই ধর্মাবলম্বীই হই না কেন, আমাদের জাত একটাই, উৎসব। একতাই আমাদের একমাত্র জাত। আমরা বিশ্ব শান্তিতে বিশ্বাস করি। আমাদের একটাই ধর্ম মানবতা। তাই মানবিকতার সঙ্গে কোনো আপস নয়। ঐক্য এবং মানবিকতাই আমাদের শক্তি এবং সম্পদ। আমি বলি ধর্ম যার নিজের নিজের, উৎসব সকলের”।
মমতা আরও বলেন, “ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং খড়্গপুর আইআইটি-কে দিয়ে একটি সমীক্ষা করিয়েছিলাম আমরা। তাতে দেখা গিয়েছে, ৪০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয় দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে। দরিদ্র, মধ্যবিত্ত, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বহু মানুষ এর সঙ্গে যুক্ত। আজ থেকে শুরু হয়ে গেল পুজো। যে যেমন করে পারেন, আনন্দ করুন। খুশিতে থাকুন। মনটাকে ভাল রাখুন, সবুজ রাখুন, মানবিক রাখুন, উন্মুক্ত রাখুন। মনটাকে আকাশ ভাবুন। হৃদয়কে বড়ো করুন। মনে রাখবেন, হৃদয় বন্ধ করা যায় না। খোলা রাখতে হয়”।
আরও পড়ুন: ‘দো আঁশলা লোক নিয়ে সংগঠন হয় না’, অস্বস্তি বাড়িয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে নিশানা অনুপমের