নদিয়া: মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের নদিয়া সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীপুজোর পর জেলা সফর নদিয়া জেলা দিয়েই শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সফরের শেষ দিন, বৃহস্পতিবার তাঁর প্রশাসনিক বৈঠক।
আগামী বছরের শুরুতেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে তেমনটাই ইঙ্গিত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। তার আগেই বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে যে কাজগুলি বাকি রয়েছে সেই কাজগুলি যাতে দ্রুত শেষ করা হয় সে বিষয়েও প্রশাসনিক বৈঠক থেকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। রানাঘাট ব্লক-১ বিডিওকে ডেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মাঝে-মধ্যে সাইকেলে-রিকসা করে ঘুরুন। ভালো লাগবে আপনার। সঙ্গে আইসিও থাকবেন”। একই সঙ্গে বলেন, “আইসিডিএস, আশাকর্মীদের কাজ কেমন হচ্ছে। আর ভোটার লিস্ট ঠিক মতো হচ্ছে কি না দেখুন। এটা খুব সিরিয়াস কাজ। আপনারা তদারকি করুন”।
পিডব্লিউডি-কে ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “কৃষ্ণনগরে ১০০ বছরের পুরনো সার্কিট হাউস ভেঙে পড়েছিল। সেই সময় ওদের ২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে খরচ করার জন্য। ভবন তৈরির পর দেখা গেল উপরটা ভেঙে পড়েছে। এখন বলছে আরও ৭১ লক্ষ টাকা চাই। টাকা যেন হাতের মোয়া। চাইল পেয়ে গেল। মেঘ-দে, পানি-দে-র মতো টাকা দে, যারা এই কাজ করছে তাদেরকেই ঠিক করতে হবে। সার্কিট হাউস সরকারের মুখ। তাই যারা পিডব্লিউডি-র এই কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে”।
একশো দিনের কাজ প্রকল্পে কেন্দ্রের টাকা দেওয়া নিয়ে চলছে রাজনৈতিক তরজা। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, “একশো দিনের কাজে আমরা এক নম্বরে ছিলাম। এখন তো টাকা দেওয়াই বন্ধ করে দিয়েছে। গ্রামীণ সড়ক যোজনাতেও বাংলা প্রথম ছিল। সেখানেও বন্ধ করে দিয়েছে। টাকা বন্ধ করে দিয়েছে আবাস যোজনাতেও। আমি পঞ্চায়েত সমিতিগুলোকে বলব, যারা ১৫ শতাংশ টাকা পাচ্ছে, তারা গ্রামীণ সড়ক যোজনা এবং বাংলার বাড়ি প্রকল্পগুলো চালিয়ে যান। দরকারে বিডিও, জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলুন। বাকি কাজ আমরা করে দেব। টেন্ডার হচ্ছে না, টেন্ডার বাতিল হয়ে যাচ্ছে, পছন্দমতো লোক পাওয়া যাচ্ছে না- এ সব করবেন না”।
এ ছাড়াও তিনি বলেন, “দুয়ারে সরকারে এ বার অনেকগুলো বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। আগে যাঁরা বিধবা ভাতা পেতেন, তাঁরা লক্ষ্মীর ভান্ডার পেতেন না। এখন থেকে নিয়ম বদলেছে। যাঁরা লক্ষ্মীর ভান্ডার পাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে কোনো বিধবা থাকলে, তিনি বিধবা ভাতাটাও পাবেন। বিদ্যুৎ বিল বকেয়া নিয়েও সমাধান মিলছে”।
আরও পড়ুন: অপারেশন সূর্যোদয়’-এর ১৫ বছর পূর্তি, শহিদ দিবস ঘিরে সরগরম নন্দীগ্রাম