কলকাতা: মেট্রোর সম্প্রসারিত তিনটি লাইনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার বিকেল ৪টে নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণের পর সোজা পৌঁছে যান যশোর রোড মেট্রো স্টেশনে। সেখানেই আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা হয় নতুন ১৪ কিলোমিটার মেট্রোপথের।
নতুন সংযোজনের ফলে মেট্রো নেটওয়ার্কে যুক্ত হল একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রুট। হাওড়া–এসপ্ল্যানেড–শিয়ালদা রুট চালু হওয়ায় শিয়ালদা থেকে ধর্মতলা পৌঁছতে সময় লাগবে মাত্র ৩ মিনিট। অরেঞ্জ লাইনে বেলেঘাটা পর্যন্ত সম্প্রসারণে এখন থেকে নিউ গড়িয়া থেকে সরাসরি যাওয়া যাবে সেক্টর ফাইভ। অপরদিকে, ইয়োলো লাইনে বিমানবন্দরের সঙ্গে যুক্ত হল নোয়াপাড়া। ফলে নোয়াপাড়া থেকে দমদম ক্যান্টনমেন্ট, যশোর রোড হয়ে সরাসরি যাওয়া যাবে দমদম বিমানবন্দরে।
এর ফলে প্রথমবারের মতো হাওড়া ময়দান থেকে গঙ্গার তলা দিয়ে সোজা সেক্টর ফাইভে মেট্রো যোগাযোগ সম্ভব হল। জানা গিয়েছে, এই রুটে প্রতি ৮ মিনিট অন্তর পরিষেবা মিলবে। শুক্রবার সন্ধেয় চালু হওয়া হাওড়া–সেক্টর ফাইভ রুটে মেট্রো চলবে সকাল ৬.৩০ থেকে রাত ১০.১৯ পর্যন্ত। নিউ গড়িয়া–রুবি রুট বেলেঘাটা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে নোয়াপাড়া–দমদম বিমানবন্দর এবং রুবি–বেলেঘাটা রুটের মেট্রো সোমবার থেকে চালু হবে সকাল ৮টা থেকে, এবং প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা চলবে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে (শনিবার-রবিবার) এই দুটি রুটে পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
রাজনৈতিক কটাক্ষে সরগরম
প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনাও তুঙ্গে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ছবিগুলি পোস্ট করে লেখেন, “এতদিন দেরি করে ভোটের আগে এসে প্রচার করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলার মানুষ জানেন, আসল কাজ মমতাই করেছেন।”
অপরদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ, “চিংড়িঘাটার জট এখনও মমতার জন্যই আটকে। মেট্রো প্রকল্পের প্রধান বাধা উনি।”
পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আসবেন-যাবেন। অতিথি হিসেবে সংবর্ধনা দেব। কিন্তু বাংলায় বিজেপি শূন্য ছিল, শূন্য আছে, শূন্যই থাকবে।”