২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও শিক্ষা দফতরের বেতন সংক্রান্ত সরকারি পোর্টালে তাঁদের নাম রয়েছে। তাই চাকরি খোওয়ার ধাক্কা সামলেও বেতন সংক্রান্ত কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন তাঁরা।
পোর্টালে নাম থাকায় আপাতত তাঁদের বেতন বন্ধ হচ্ছে না বলেই ধারণা। ফলে হঠাৎ করে আর্থিক দুর্দশায় পড়তে হচ্ছে না বহু পরিবারকে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারও তাঁদের পাশে রয়েছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য ব্যাখ্যা চেয়েছে, এবং এখনও কোনও শিক্ষককে স্কুল থেকে বাদ দেওয়া হয়নি বা বেতন বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়নি।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইনডোরে ভাষণে আশ্বাস দিয়েছিলেন, তিনি কাউকে চাকরি হারাতে দেবেন না। শীর্ষ আদালত থেকে সমাধান না মিললে বিকল্প পথে ভাববে রাজ্য। এমনকি চাকরিপ্রার্থীদের স্কুলে গিয়ে স্বেচ্ছায় পড়ানোর পরামর্শও দিয়েছিলেন তিনি।
তবুও আন্দোলন থেমে থাকেনি। বুধবার রাজ্যজুড়ে ডিআই অফিসে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন চাকরিচ্যুতদের একাংশ। পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছে কসবা ও বর্ধমানে। তার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার শহরে মহামিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে।
এসএসসি ভবনের সামনে বুধবার থেকেই অবস্থানে ছিলেন চাকরিহারা শিক্ষকেরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে অনশনে বসেছেন তাঁরা। আপাতত অনশনে প্রথম যোগ দিয়েছেন শিক্ষক পঙ্কজ রায়। তাঁদের প্রধান দাবি, মিরর ইমেজ প্রকাশ করে যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা স্পষ্ট করুক এসএসসি।
শিক্ষামন্ত্রী আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধরার আবেদন জানিয়েছেন। শনিবার তাঁদের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসবেন তিনি। এখন দেখার, এই বৈঠকে সমাধানের ইঙ্গিত মেলে, নাকি আন্দোলন আরও জোরালো হয়।