প্রথম পাতা খবর উৎসবের মুখে ফের বন্ধ ধস বিধ্বস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, বিপাকে পর্যটক ও ব্যবসায়ী, স্থায়ী বিকল্প রাস্তার দাবি ট্যুর অপারেটরদের

উৎসবের মুখে ফের বন্ধ ধস বিধ্বস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, বিপাকে পর্যটক ও ব্যবসায়ী, স্থায়ী বিকল্প রাস্তার দাবি ট্যুর অপারেটরদের

40 views
A+A-
Reset

ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে যখন ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছিল পাহাড়ের পর্যটন শিল্প, ঠিক সেই সময় ফের বড় ধাক্কা। উৎসবের মরশুমে, কালীপুজো ও দীপাবলির ছুটিতে পাহাড়মুখী পর্যটকদের ঢল শুরু হলেও সোমবার থেকে বন্ধ হয়ে গেল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক (NH-10)। ফলে আগামী চারদিন শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং ও সিকিমের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ থাকবে না।

এনএইচআইডিসিএল (NHAIDCL) সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তাটির একাধিক জায়গায় মেরামত ও সম্প্রসারণের কাজ চলছে। ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত ওই সড়ক বন্ধ থাকবে। তবে এই সিদ্ধান্তে উৎসব মরশুমে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী ও হোটেল মালিকরা।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে পাহাড় ও ডুয়ার্স অঞ্চলের বড় অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর প্রশাসন দ্রুত উদ্ধারকাজ চালায়। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে বুকিং ফিরতে শুরু করেছিল হোটেল, হোমস্টে ও রিসর্টগুলিতে। কিন্তু ঠিক দীপাবলির আগেই সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পর্যটকদের মধ্যে শুরু হয়েছে অসন্তোষ।

শিলিগুড়ি থেকে ঘুরপথে কালিম্পং ও সিকিমে পৌঁছাতে গিয়ে অতিরিক্ত সময় ও দুর্ভোগের মুখে পড়ছেন পর্যটকরা।
পর্যটন সংগঠনের প্রতিনিধি সম্রাট সান্যাল বলেন,“এতে পর্যটন ব্যবসায় প্রভাব পড়বে, ক্ষতি হবে। তবে চারদিনের জন্য আমরা মানিয়ে নিচ্ছি। পর্যটকদের বুঝিয়ে ট্যুরগুলিকে ঘুরপথে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।”

তিনি আরও বলেন, “বছর খানেক আগে ধস ও তিস্তার ভাঙনে বিধ্বস্ত হয়েছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। রাজ্যের কাছ থেকে দায়িত্ব নিয়ে এনএইচআইডিসিএল এখনও পর্যন্ত স্থায়ী সমাধান দিতে পারেনি। রাস্তা বন্ধের সংস্কৃতি থেকে মুক্তি চাই। পাশাপাশি, সমান্তরাল বিকল্প সড়ক তৈরির দাবি জানিয়েছি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে।”

সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে এনএইচআইডিসিএল পাহাড় কেটে কিছু এলাকায় সড়ক সম্প্রসারণ ও ধসে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলির সংস্কারকাজ শুরু করেছে।
তবে রাস্তা বন্ধের সিদ্ধান্তে প্রশাসনের কোনও বিকল্প পরিকল্পনা না থাকা নিয়েও ক্ষোভ বাড়ছে পর্যটন মহলে।

কালিম্পং জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে, তবে পাহাড়ি আবহাওয়া ও ভূপ্রকৃতির কারণে সময় লাগছে কিছুটা বেশি।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.