কসবার হালতুতে এক পরিবারে তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় নতুন মোড়। চঞ্চল মুখোপাধ্যায়ের পর এবার গ্রেপ্তার হলেন সোমশুভ্র মণ্ডল নামে আরও এক লোন এজেন্ট। কসবা থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।
তদন্তকারীদের সন্দেহ, ব্যাঙ্ক লোনের টাকা না মেটানোর জন্য সোমনাথ রায় ও তাঁর পরিবারকে চঞ্চল ও সোমশুভ্র একসঙ্গে হেনস্থা করেছিলেন কি না। সম্প্রতি সোমনাথ (৪০), তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা রায় (৩৫) ও তাঁদের নাবালক ছেলের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, সোমনাথ বিপুল দেনায় ডুবে গিয়েছিলেন। তিনি বিভিন্ন উৎস থেকে প্রায় ১০.৬২ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছিলেন, যার মধ্যে সোমশুভ্রই একটি বড় অংশ পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন।
তদন্তে উঠে এসেছে, লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে সোমশুভ্রের ভূমিকা কী ছিল এবং তাঁর কোনও স্বার্থ জড়িত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। হালতুর ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজন গ্রেপ্তার হয়েছে—সোমনাথের মামা, মামি এবং দুই লোন এজেন্ট। আরও এক লোন রিকভারি এজেন্টের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।