নয়াদিল্লি: ইডি এবং সিবিআই প্রধানদের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। তৃণমূল, কংগ্রেস এবং অন্যান্য দলের সাংসদরা কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিরোধী দলগুলি।
বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতারা কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে আটটি জনস্বার্থ মামলা দাখিল করেছেন সুপ্রিম কোর্টে। তবে বিজেপি নেতারা বিরোধীদের এই প্রতিবাদকে ব্যক্তিগত স্বার্থের তাগিদে একটি “চাপের কৌশল” বলে অভিহিত করেছেন।
দুই কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা এবং জয়া ঠাকুর, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র-সহ সাকেত গোখলে, কৃষাণ চন্দর সিং, বিনীত নারায়ণ এবং মনোহরলাল শর্মার দায়ের করা পিআইএলগুলিতে গত ২ আগস্ট নোটিশ জারি করেছিল সর্বোচ্চ আলাদলত। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির প্রধানদের মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁরা ‘তদন্তকে প্রভাবিত করার’ অভিযোগ তুলেছিলেন।
অন্য দিকে, সরকারি হলফনামায় দাবি করা হয়েছে, বিরোধীদের এই ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। দলীয় পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে এজেন্সি যে তদন্ত চালাচ্ছে, তা বিভ্রান্ত করার জন্যই এই প্রতিবাদ। বিজেপি নেতৃত্বের মতে, জনসাধারণের বৃহত্তর সুবিধার জন্য পিআইএল দায়ের করা হয়। আর এগুলো নিছক ব্যক্তিগত স্বার্থ মামলা।
ইডি এবং সিবিআই ডিরেক্টরদের পাঁচ বছর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর জন্য কেন্দ্র অর্ডিন্যান্স আনার কয়েকদিন পরে মামলাগুলি দায়ের হয় ।কমপক্ষে ওই আটটি জনস্বার্থ মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য দিন ধার্য করে ১৯ সেপ্টেম্বর। আবেদনগুলির সুষ্ঠু নিষ্পত্তির সুবিধায় সিনিয়র অ্যাডভোকেট কেভি বিশ্বনাথনকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালত-বন্ধু) হিসাবে নিযুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: ৪ দিনের ভারত সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, উঠল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গও