ডেস্ক: বাংলা জয়ের জাতীয় রাজনীতিতে পা রেখেছে তৃণমূল। এখন টার্গেট পড়শি রাজ্য ত্রিপুরা।সোমবার সেখানে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই রবিবাসরীয় সকালে ত্রিপুরার যুব সমাজের মন বুঝতে আসরে নামলেন দেবাংশু–জয়া–সুদীপ। আগরতলা স্টেশনে এই তিন মূর্তিকে দেখে যেভাবে খেলা হবে গান বেজে উঠল তাতে স্পষ্ট ২০২৩ সালের নির্বাচনে যুবসমাজ ত্রিপুরায় বদল ঘটাবেই।
বুড়ি মায়ের স্বাস্থ্য সাথী, ফুলিয়ে বলে বুকের ছাতি’ খেলা হবে গানের এই জনপ্রিয় লাইনটি আওড়ে আগরতলায় দেবাংশু দাবি করলেন, ‘ত্রিপুরার মানুষও স্বাস্থ্যসাথী পাবেন। সবুজ সাথী, কন্যাশ্রী পাবেন। ২০১৮ সালে ত্রিপুরার মানুষ বড় আশা নিয়ে চলো পাল্টাই এর ডাক দিয়েছিল। এখন নিজেদের ঘটিই উল্টে গিয়েছে।’ তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশুর দাবি, ত্রিপুরার মানুষ পরিবর্তনের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। আমরা শুধু সাধারণ মানুষকে ভরসা দিতে এসেছি।
আরও পড়ুন: উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে জট অব্যাহত, ২১ দিনে জমা হল ২৫ হাজার অভিযোগ
যুব সম্প্রদায় বলছে, ২০১৮ সালে বিজেপি সরকার গঠনের পরে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের প্রতিশ্রুতি ছিল, রাজ্যে ব্যাপক হারে শিল্প আসবে। কিন্তু সাড়ে তিন বছর অতিক্রান্ত শিল্পের ব্যাপক হারে আগমন কেউ দেখতে পাননি বলে অভিযোগ যুবদের৷ এমনকী পরিকাঠামো উন্নয়নে রাজ্যে একচিলতে কাজ হয়নি বলেও ক্ষোভ রয়েছে তাঁদের। ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস এই ইস্যুকে হাতিয়ার করেছে। কর্মসংস্থান নেই। সরকারি নিয়োগ বন্ধ। মার খাচ্ছে রাবার এবং চা চাষ।