দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে এই প্রথম গ্রেফতার। জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম শফিক আলি। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কারা যুক্ত, সে ব্যাপারে তদন্তে করে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে নীলগঞ্জ এলাকা থেকে কেরামত আলির ‘সহযোগী’ শফিক আলিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি ২০০ কেজির মতো নিষিদ্ধ শব্দবাজি ও বাজি তৈরির সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, কেরামতের ‘বাজি’র ব্যবসায় ‘অংশীদারিত্ব’ ছিল শফিকের।
দত্তপুকুরের বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণে আরও কয়েকটি নাম রবিবার থেকেই উঠে এসেছে। এর মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে শোনা গিয়েছে কেরামত আলির কথা। একটি সূত্রের মতে, গত কালের বিস্ফোরণে সপুত্র কেরামতের মৃত্যু হয়। আর এক অভিযুক্ত, সইফুল আলির অবস্থা খুব খারাপ। এই মুহূর্তে বারাসত হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি।
উল্লেখ্য, রবিবার সকালে বিস্ফোরণের অভিঘাতে কেঁপে উঠেছিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দত্তপুকুর এলাকার মোচপোল গ্রাম। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কমপক্ষে দশ জন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সকলের চোখের সামনেই চলছিল এই বেআইনি বাজি তৈরির ব্যবসা। স্থানীয় বাসিন্দা সামসুল হকের জমি ভাড়া নিয়েই এই গুদাম ও কারখানা তৈরি করা হয়েছিল। এরপর এই বাজির ব্যবসা ফেঁদেছিলেন কেরামত।