প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বহাল রাখার হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন বিচারপতি ও বর্তমান তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানালেও তিনি প্রশ্ন তুললেন রায়ের ‘ভিত্তি’ নিয়ে। তাঁর দাবি, যে যুক্তিতে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বজায় রাখা হয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়।
দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ। সেই নির্দেশে এতদিন স্থগিতাদেশ ছিল। বুধবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়—মানবিক কারণে কারও চাকরি বাতিল করা হবে না। কারণ, এই শিক্ষকরা দীর্ঘ ৯ বছর ধরে কর্মরত এবং হঠাৎ চাকরি বাতিল হলে তাঁদের পরিবার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
রায়ের পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অভিজিৎ বলেন, “২৬ হাজার চাকরি যাদের বাতিল হল, তারাও তো অনেক বছর চাকরি করেছিলেন। তাহলে কি সেই রায় ভুল? আমার মনে হয়, এটা কোনও গ্রাউন্ড হতে পারে না।”
তবে তিনি এটাও জানান, ডিভিশন বেঞ্চের বিচার করার পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে এবং তারা যা ঠিক মনে করেছেন, করেছেন।
বুধবারের রায়ে আদালত স্পষ্ট করে দেয়—দুর্নীতি হয়েছে, এবং তা প্রমাণিত। তাই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত চলবে। তবে কয়েকজনের দুর্নীতির দায় নিয়ে হাজার হাজার চাকরিরত শিক্ষককে শাস্তি দেওয়া যাবে না।
উল্লেখ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতির মামলায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তও প্রথম দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ই। পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্ট ২০১৬ সালের এসএসসি-র সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে কমিশনকে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেয়। প্রাথমিকের ক্ষেত্রে ডিভিশন বেঞ্চ ভিন্ন পথ নেওয়ায় সেই দৃষ্টান্তই তুললেন অভিজিৎ।
সূত্র: আনন্দবাজার ডট কম