ডেস্ক: ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের সম্পূর্ণ নিয়োগ তালিকা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। যোগ্যতা না থাকা সত্বেও এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি করার অভিযোগ উঠেছিল। ২৭ অগাস্ট জনস্বার্থ মামলায় সুবিচারের নিদান দেন খোদ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি’র ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ২২ সেপ্টেম্বর মধ্যে ইতিমধ্যে নিয়োগ পাওয়া ১৫০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের বিশদ তথ্য তালিকা আকারে পেশ করতে হবে।
মামলাকারী স্বদেশ দাস হাইকোর্টে জানান তাঁর মতন ১২ জন প্রাথমিক শিক্ষকতা করছেন একই নথি নিয়ে। এই ১২ জনের নাম ঠিকানাও হাইকোর্টে পেশ হয়।বিচারপতি কিছুটা বিস্মিত হন। আর এরপর টেটের যোগ্যতামানের নথি ছাড়াই চাকরি জেনে জনস্বার্থ মামলার নিদান দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের মানস ভুঁইয়ার ছেড়ে যাওয়া রাজ্যসভার আসনে নির্বাচন ঘোষণা করল কমিশন
এই মামলাই এদিন ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের এজলাসে ওঠে। সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে আইনজীবী শুভ্রপ্রকাশ লাহিড়ি বলেন একটা জেলায় যদি এই এমন অবস্থা হয়, তাহলে গোটা রাজ্যে এমন চাকরি প্রাপকদের সংখ্যা কত হতে পারে! গোটা প্রক্রিয়ায় বড় দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি সরকার পক্ষের কাছে জানতে চান ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে পরীক্ষার্থী সংখ্যা কত ছিল। সরকারি আইনজীবী জানান প্রায় ১২ লক্ষ পরীক্ষার্থী ছিলেন। তার মধ্যে চাকরি পান ১৫ হাজার। তার পর সেই তালিকা দেখতে চান ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘কার যোগ্যতা রয়েছে, কার নেই, তার পুরোটাই আমি দেখব।’ কিন্তু পর্ষদের দেওয়া তালিকায় না-খুশ তিনি।