কলকাতা: চলতি বছর প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগের টিচার এলিজেবিলিটি টেস্ট (টেট) বাতিল করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সোমবার এই ঘোষণা করে পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানান, ২০২২ ও ২০২৩ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া প্রার্থীদের নিয়োগে এখনও আইনি জটিলতা থাকায় এ বছর টেট স্থগিত করা হয়েছে। যদিও তাঁর বক্তব্য, ছ’মাসের মধ্যে আবারও পরীক্ষা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
২০২২ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রতি বছর টেট নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন গৌতম পাল। টানা দু’বছর টেট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর নিয়মমাফিক ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে পরীক্ষার পরিকল্পনা ছিল। তবে, ২০২২ ও ২০২৩ সালে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগ নিয়ে এখনও নানা আইনি বাধা অটল থাকায় পর্ষদ এ বছরের পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।
এ ব্যাপারে কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেছেন, “এটা অনভিপ্রেত। যে কোনও উদ্যোগ নেওয়ার আগে তার আইনি দিকগুলি বিবেচনা করা উচিত ছিল।”
২০২২ সালে পাঁচ বছর পর প্রাথমিক টেট অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রায় ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন এবং দেড় লক্ষের মতো পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। পরের বছর, ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষায় ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন রেজিস্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ২ লক্ষ ৭২ হাজার জন। তবে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরও পর্ষদ এখনও ফল প্রকাশ করতে পারেনি।
পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানান, “আমাদের স্বচ্ছতার উপর গুরুত্ব রয়েছে, এবং আইনি বাধাগুলি দূর করে খুব শীঘ্রই আমরা ফলপ্রকাশ করব।”