ডেস্ক: কংগ্রেসের সভাপতি পদে নির্বাচনের তোরজোর শুরু হয়ে গিয়েছে। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হবে ভোট। শনিবারের বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে দিনক্ষণ নিয়ে। জানা গিয়েছে, আজ কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সভায়, বর্ষীয়ান নেতারা রাহুলকে সভাপতি হওয়ার অনুরোধ করেন। এর জবাবে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘আমি বিষয়টি বিবেচনা করব।’ তিনি আরও বলেন যে দলের নেতাদের কাছ থেকে তাঁর আদর্শের স্তরে স্পষ্টতা প্রয়োজন।
২০২৪-র লোকসভা ভোটকে টার্গেট করে ফের রাহুল গান্ধীকে দলের সভাপতি পদে ফিরিয়ে আনার তোরজোর শুরু হয়ে গিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে রাহুল গান্ধী দলের সভাপতি পদে না থাকলেও একাধিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। এবং দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন বিজেপি বিরোধী আন্দোলনে।
তাঁর হাতেই যে কংগ্রেসের রাশ রযেছে, দলের গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে তা বুঝিয়ে দিলেন সনিয়া গান্ধী ৷ সূত্রের খবর, সনিয়া স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সভাপতি হিসেবে তিনিই পূর্ণ সময়ের জন্য দায়িত্ব পালন করছেন৷
রাহুল গান্ধী সভাপতি পদে ইস্তফা দেওয়ার পরই অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন সনিয়া গান্ধী। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সনিয়া বলেন, আমি বরাবরই খোলামেলা আলোচনা পছন্দ করি। মিডিয়ার মাধ্যমে আমার সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন নেই। তাই ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে যাই আলোচনা হোক, তা যেন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সম্মিলিত সিদ্ধান্ত হিসেবেই বাইরে যায়।
আরও পড়ুন: ছত্তিসগড়ের রায়পুরে CRPF স্পেশাল ট্রেনে বিস্ফোরণ, জখম ৬ সিআরপিএফ জওয়ান
দলের বিক্ষুব্ধ নেতাদের অভিযোগ, নেতৃত্বে বদল না ঘটালে এই অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব নয়৷ দলকে ঘুরে দাঁড় করানোর উপায় নিয়ে বলতে গিয়ে সনিয়া বলেন, ‘সংগঠনের প্রত্যেকেই চায় যে কংগ্রেস ঘুরে দাঁড়াক৷ কিন্তু তার জন্য সবার আগে একতা এবং দলের স্বার্থ সবার আগে দেখা প্রয়োদন৷ সবথেকে বেশি প্রয়োজন শৃঙ্খলা এবং সংযম৷’