প্রথম পাতা খবর আজই অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে ঘর ওয়াপসি হতে পারে রাজীবের

আজই অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে ঘর ওয়াপসি হতে পারে রাজীবের

293 views
A+A-
Reset

ডেস্ক: জল্পনা সত্যি করে সম্ভবত আজই অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে ঘর ওয়াপসি হতে পারে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আজ আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন হচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রীর। তৃণমূল সূত্রে অন্তত তেমনটাই খবর।


রাজীববাবু শুক্রবার আগরতলায় চলে এসেছেন। গোপনেই রয়েছেন। তাঁর মন্তব্যও জানা যায়নি। কিন্তু রাজনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, যেহেতু ত্রিপুরার গত ভোটেও রাজীব তৃণমূলের (TMC) প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন, তাই আগরতলার মাটিতেই তিনি অভিষেকের হাত ধরে ফের তৃণমূলে ফিরতে চান।
সূত্রের খবর আগামী এক বছর মেঘালয়, ত্রিপুরার মতো রাজ্যে কাজ করবেন রাজীব। অর্থাৎ সর্বভারতীয় স্তরে সম্প্রসারণের যে স্বপ্ন তৃণমূল কংগ্রেস দেখছে, তাতেই রাজীবকে কাজে লাগানোর কথা ভাবছে দল। তাতে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব এড়ানো তো যাবেই, পাশাপাশি দক্ষ সাংগঠনিক নেতা রাজীবের উপস্থিতি উত্তর পূর্বে পায়ের তলায় মাটিও শক্ত করবে। কারণ ত্রিপুরাকে হাতের তালুর মতো চেনেন রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায়। 


 ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই নতুন করে রাজ্যে দলবদলের হাওয়া। ফরে ‘বেসুরো’ হচ্ছেন অনেক নেতাই। সেই দলেই ছিলেন রাজীব। সম্প্রতি হেস্টিংসে বিজেপির দলীয় বৈঠকে মুকুল রায়ের মতো রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দেখা যায়নি। সে দিন থেকেই জল্পনা শুরু। এরপর ফেসবুকে বিস্ফোরক পোস্ট। সেখানে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী লেখেন, “সমালোচনা তো অনেক হল….মানুষের বিপুল সমর্থন নিয়ে আসা সরকারের সমালোচনা ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতে গিয়ে কথায় কথায় দিল্লি আর ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে বাংলার মানুষ ভালভাবে নেবে না।” হুবহু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই তিনি লেখেন, “আমাদের সকলের উচিত রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে কোভিড ও ইয়াস-এর মতো দুর্যোগে মানুষের পাশে থাকা।”

আরও পড়ুন: ৩৭ বছর আগে আজকের দিনে বন্দুকের গুলিতে ঝাঁজরা হতে হয়েছিল ইন্দিরা গান্ধীকে


মুকুল রায়ের প্রত্যাবর্তনে পরই রাজীবের ফেরার সম্ভাবনা দেখছিল রাজনৈতিক মহল। ভোটের পরে বহু ছোটবড় নেতাই ঘরে ফিরেছেন, কিন্তু ভোটে হারলেও রাজীবের জনপ্রিয়তা আজও প্রশ্নাতীত। তাঁর ঘরওয়াপাসি তৃণমূলে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রাজীব যেদিন তৃণমূব ছেড়েছিলেন, সেদিনও তাঁর হাতে ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি, চোখে ছিল জল! অনেকেই বলেছিলেন, রাজীব নাকি দুটো পথই খোলা রাখতে চেয়েছিলেন। একটা নির্বাচন আর তার পরবর্তী পরিস্থিতি বাস্তবায়িত করল সেই অনুমানকেই।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.