প্রথম পাতা খবর ৩৫টি অননুমোদিত যৌগিক ওষুধ উৎপাদন ও বিপণনে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নিয়ন্ত্রক সংস্থা

৩৫টি অননুমোদিত যৌগিক ওষুধ উৎপাদন ও বিপণনে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নিয়ন্ত্রক সংস্থা

228 views
A+A-
Reset

দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ড্রাগ কন্ট্রোলারদের বিশেষ নির্দেশ সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও)-এর। ৩৫টি অননুমোদিত ফিক্সড-ডোজ কম্বিনেশন (এফডিসি) ওষুধের উৎপাদন, বিপণন ও বিতরণ অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ওষুধগুলোর মধ্যে রয়েছে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ, পুষ্টি সম্পূরক এবং ব্যথানাশক।

একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এই যৌগিক ওষুধগুলোর অনুমোদন প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে এবং ১৯৪০ সালের ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স অ্যাক্ট অনুসারে আইন কঠোরভাবে মানা হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এফডিসি ওষুধ হল এমন ওষুধ, যার মধ্যে নির্দিষ্ট অনুপাতে দুই বা ততোধিক সক্রিয় উপাদান (এপিআই) থাকে।

সিডিএসসিও জানিয়েছে, কিছু এফডিসি ওষুধ অনুমোদন ছাড়াই উৎপাদন, বিক্রি এবং বিতরণের অনুমতি পেয়েছে, যার ফলে জনস্বাস্থ্যের উপর গুরুতর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

১১ এপ্রিল ডিজিসিআই ডঃ রাজীব রঘুবংশী একটি চিঠিতে জানান, ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে তাঁদের দপ্তর থেকে একটি চিঠিতে এই সমস্যা প্রথম তুলে ধরা হয়েছিল। তখনই বলা হয়েছিল, যেসব এফডিসি ওষুধ “নতুন ওষুধ” সংজ্ঞার আওতায় পড়ে, সেগুলির ক্ষেত্রে ডিজিসিআই-এর পূর্বানুমোদন ছাড়া উৎপাদনের লাইসেন্স দেওয়া অনুচিত।

এই উদ্বেগ বারবার বিভিন্ন সময়ে জানানো হলেও রাজ্যগুলির ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলি বিভিন্ন সময়ে অনুমোদন দিয়ে এসেছে। সর্বশেষ এমন একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, কিছু এফডিসি ওষুধ ২০১৯ সালের এনডিসিটি নিয়ম অনুসারে নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা যাচাই ছাড়াই উৎপাদন ও বিক্রির অনুমতি পেয়েছে। এতে রোগীর স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। কারণ এইসব ওষুধের কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বৈজ্ঞানিক যাচাই হয়নি, ফলে গুরুতর প্রতিক্রিয়া বা ওষুধের পারস্পরিক সংঘাত হতে পারে।

অনুমোদন ছাড়াই লাইসেন্সপ্রাপ্ত এসব ওষুধের প্রস্তুতকারকদের শোকজ নোটিশ পাঠানো হলে, তারা জানায় যে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাদের এই লাইসেন্স দিয়েছে এবং তারা কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করেনি।

ফলে দেশে একযোগে আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

এই প্রেক্ষিতে, সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির ড্রাগ কন্ট্রোলারদের অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন তাদের অনুমোদন প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করেন এবং আইন কঠোরভাবে মানা হচ্ছে তা নিশ্চিত করেন।

চিঠিতে এমন ৩৫টি অননুমোদিত এফডিসি ওষুধের তালিকাও দেওয়া হয়েছে, যেগুলির লাইসেন্স পরবর্তীতে বাতিল করা হয়েছে বা প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি স্বেচ্ছায় তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.