অকাট্য প্রমাণসহ পাকিস্তানের একাধিক দাবি নস্যাৎ করল ভারত সরকার। শনিবার সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে, ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি, এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির ওপর পাকিস্তান যেসব হামলার দাবি করেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভুয়ো প্রচার। এই দাবি যে একটি মিথ্যাচার প্রচারাভিযানের অংশ, তা ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে।
বিদেশ মন্ত্রকের ব্রিফিংয়ে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি বলেন, পঞ্জাবের আদমপুরে থাকা এস-৪০০ সিস্টেম, সুরতগড় ও সিরসা এয়ার ফোর্স স্টেশন, নাগরোটায় ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি এবং চণ্ডীগড়ের গোলাবারুদ ডিপো—সবকিছুই অক্ষত রয়েছে এবং এসবের ওপর হামলার সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে।
সরকার সময়মতো তোলা কিছু ছবি প্রকাশ করেছে, যেখানে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, এসব সামরিক ঘাঁটির কোনো ক্ষতি হয়নি।
কর্নেল কুরেশি জানান, “পাকিস্তান সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া দাবি করেছে যে তারা আদমপুর, সুরতগড় ও সিরসার এয়ার স্টেশন এবং ব্রহ্মোস ঘাঁটির ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা এইসব মিথ্যা দাবি স্পষ্টভাবে অস্বীকার করছি।”
বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী পাকিস্তানের এই অপপ্রচারের কড়া নিন্দা করে বলেন, “এইসব সম্পূর্ণ মিথ্যা। পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মহলকে বিভ্রান্ত করতে ভিত্তিহীন দাবি ছড়াচ্ছে।”
ভারত স্বীকার করেছে, শনিবার ভোরে পাকিস্তানের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, লুইটার মিউনিশন ও বিমান হামলার মাধ্যমে ২৬টি স্থানে আঘাত হানার চেষ্টা করা হয়। এর মধ্যে ছিল উধমপুর, পাঠানকোট, ভাঠিন্ডা, ভুজ ও আদমপুরের বিমানঘাঁটি। কর্নেল কুরেশি জানান, রাত ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ পাঞ্জাবের একটি এয়ারবেস লক্ষ্য করে উচ্চগতি সম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বারামুলা, শ্রীনগর, আওন্তিপোরা, জম্মু, পাঠানকোট, ভুজ এবং জয়সালমেরে সশস্ত্র ড্রোন পাঠিয়ে পাকিস্তান ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘনের চেষ্টা চালায়, যেগুলো ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী দ্রুত গতি সম্পন্ন প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও রাডার নির্ভর প্রযুক্তির সাহায্যে প্রতিহত করে।
পাশাপাশি তিনি জানান, পাকিস্তান শ্রীনগর, আওন্তিপোরা ও উধমপুরে স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও বিদ্যালয়ের ওপর হামলা চালিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার কনভেনশনের চরম লঙ্ঘন এবং একটি বিপজ্জনক উসকানি।