কলকাতা: এবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিমেস্টার পদ্ধতি শুরু হচ্ছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা এবং মূল্যায়ন করা হবে। এবার থেকে বছরে একবার নয়, দু’বার পরীক্ষা হবে। এছাড়া পরীক্ষার পদ্ধতিতে এবং সিলেবাসে বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে নতুন পদ্ধতির কথা ঘোষণা করেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। নতুন এই পদ্ধতির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্রেডিট বেসড সিমেস্টার সিস্টেম’। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এই পদ্ধতিতে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন শুরু হবে।
এবার থেকে বছরে দুইটি সিমেস্টার পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রথম সিমেস্টার এবং জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় সিমেস্টার হবে। প্রথম সিমেস্টার পরীক্ষা হবে ৪০ নম্বরে, যার মধ্যে ২০ নম্বর থাকবে উপস্থিতি এবং ক্লাসে আচরণ ইত্যাদি মূল্যায়নের উপর। বাকি ২০ নম্বর থাকবে প্রজেক্টের ভিত্তিতে। দ্বিতীয় সিমেস্টার পরীক্ষা হবে ৬০ নম্বরে, এবং এটি হবে লিখিত পরীক্ষা।
এছাড়া, প্রশ্নপত্র প্রস্তুতির দায়িত্ব আর স্কুলের হাতে থাকবে না, পর্ষদই রাজ্যজুড়ে একক প্রশ্নপত্র তৈরি করবে। তবে খাতা দেখবে সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষকরা।
পড়ুয়াদের জন্য ‘ক্রেডিট স্কোর’ও থাকবে। প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য প্রতি বছর ৩৭৬ ঘণ্টা ক্লাস হবে এবং সর্বোচ্চ ‘ক্রেডিট স্কোর’ থাকবে ১৩.৫। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির জন্য প্রতি বছর ৪৬০ ঘণ্টা ক্লাসের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সর্বোচ্চ ‘ক্রেডিট স্কোর’ থাকবে ১৬.৫।
এ বিষয়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেছেন, “সরকারের সাহায্যে আমরা এ ধরনের সাহসী পদক্ষেপ নিতে পেরেছি। খম বয়স থেকেই এ ধরনের মূল্যায়ন পদ্ধতির মধ্যে গেলে ভবিষ্যতে কোনও অসুবিধা হবে না।” ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার বলেন, “আমরা চাই বুনিয়াদি শিক্ষা আরও শক্তিশালী হোক। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শিগগিরই শুরু হবে।”