শঙ্কর মালাকারের দলবদল, ভোটের মুখে উত্তরে তৃণমূলের মাস্টারস্ট্রোক

বিধানসভা ভোটের আগে উত্তরে সংগঠন মজবুত করতে একের পর এক চমক দিচ্ছে তৃণমূল। বিজেপি থেকে জন বার্লাকে দলে টানার পর এবার কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা শঙ্কর মালাকারকে ঘাসফুল শিবিরে নিয়ে এল তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে রাজ্য সম্পাদক সুব্রত বক্সি ও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দেন শঙ্কর।

শঙ্কর মালাকার ২০১১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত দু’বার মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। সেইসঙ্গে দীর্ঘ ২০ বছর ধরেই ছিলেন দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি। কংগ্রেসের অন্দরেই তিনি ছিলেন একজন নির্ভরযোগ্য সংগঠক। রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রায় উত্তরবঙ্গে প্রচুর জমায়েত ঘটিয়েছিলেন তিনি। তাই তাঁর এই দলবদল কংগ্রেসের জন্য যে বড় ধাক্কা, তা রাজনৈতিক মহলের মতে স্পষ্ট। অনেকেই বলছেন, এই ঘটনায় উত্তরবঙ্গে কার্যত কংগ্রেস এখন অভিভাবকহীন।

তাঁকে দলে পেয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত তৃণমূল নেতৃত্ব। সুব্রত বক্সি বলেন, “শঙ্করবাবু দার্জিলিং জেলায় ১৫ বছর সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। তাঁর আগমনে উত্তরবঙ্গের সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে।” অরূপ বিশ্বাস জানান, “দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই শঙ্কর মালাকারকে দলে নেওয়া হয়েছে।”

তৃণমূলে যোগ দিয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন শঙ্কর মালাকার। তাঁর কথায়, “বিজেপি উত্তরবঙ্গকে ছারখার করে দিচ্ছে। কখনও কামতাপুরী, কখনও গোর্খাল্যান্ড, আবার কখনও উত্তরবঙ্গ ভাগের চক্রান্ত চলছে। কংগ্রেসে থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব নয়। তাই তৃণমূলই একমাত্র বিকল্প।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই দলবদল উত্তরবঙ্গের আসনগুলিতে তৃণমূলের সংগঠন মজবুত করার পাশাপাশি কংগ্রেস ও বিজেপি উভয়ের জন্যই চাপ বাড়াবে।

Related posts

১ অক্টোবর থেকে আধার আপডেটের খরচ বাড়ছে ২৫-৫০%! দেখে নিন নতুন হারে কত লাগবে

চতুর্থীর সন্ধ্যায় অভিষেকের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক, তৃণমূলে সক্রিয় হওয়ার বার্তা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের

মুখ্যমন্ত্রীর দাবি মেনে অবশেষে ক্ষতিপূরণ দিল সিইএসসি ! মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা সাহায্যের ঘোষণা