শান্তিনিকেতন: দু-দিন নিখোঁজ থাকার পর প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হল এক বছর পাঁচেকের শিশুর দেহ। এই ঘটনার জেরে শান্তিনিকেতনের মোলডাঙা গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনা। দেহ উদ্ধারের পরই অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিস্কুট কিনতে গিয়ে বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল শিবম ঠাকুর নামে শিশুটি। বাড়ির কাছেই মুদি দোকান থেকে আর ফিরে আসেনি সে। প্রায় ৫২ ঘণ্টা পর বাড়ির পাশেই প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হয় নিথর দেহ।
ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রতিবেশীরা। অভিযুক্তের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় অভিযুক্তের বাড়িতে। খবর পেয়ে শান্তিনিকেতন থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়।
তবে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। শান্তিনিকেতন থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করে শিবমের পরিবার। কিন্তু দু-দিন পেরিয়ে গেলেও অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (বীরভূম) অভিষেক রায় ও অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (বোলপুর) সুরজিৎ কুমার দে-র নেতৃত্বে তদন্তে নেমেও শিবমের খোঁজ দিতে পারেনি পুলিশ। যা নিয়ে এদিন সকালেই পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে শিশুটির পরিবার।
অভিযোগ, শিশুটিকে অপহরণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। পারিবারিক বিবাদের জেরেই শিশুটিকে মারধর করে খুন করা হয়েছে বলে মৃতের পরিবারের অভিযোগ।
আরও পড়ুন: কুড়মিদের আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত করার দাবিতে রেল ও রাজ্য সড়ক অবরোধ