রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্নের শান্তিনিকেতনের মুকুটে নতুন পালক। ইউনেস্কোর বিশ্ব হেরিটেজ সাইটের (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট) তকমা পেল শান্তিনিকেতন। রবিবার সরকারিভাবে ইউনেস্কোর তরফে সেই ঘোষণা করা হয়েছে।
শান্তিনিকেতন যে বিশ্ব ঐতিহ্যশালী স্থানের তালিকায় স্থান পেতে চলেছে, সেই ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। শান্তিনিকেতনকে বিশ্ব হেরিটেজ সাইটের তালিকায় নিয়ে আসতে ২০১০ সালে উদ্যোগী হয়েছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি সচিব জহর সরকার এবং পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের তৎকালীন ডিরেক্টর গৌতম সেনগুপ্ত। তবে সেইসময় স্বীকৃতি মেলেনি। ২০২১ সালে শান্তিনিকেতনের জন্য সওয়াল করেছিলেন স্থপতি আভা নারায়ণ। যা ইউনেসকোর মাপকাঠি পূরণ করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্সে লেখেন, ‘‘আমি খুব আনন্দিত এবং গর্বিত যে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শহর শান্তিনিকেতন এখন ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বিশ্ববাংলার গর্ব, শান্তিনিকেতনকে লালন করেছেন কবি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম একে সমর্থন করে গিয়েছেন বাংলার মানুষ।’’ মমতা এক্সে এও জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের সরকার গত ১২ বছর ধরে এর পরিকাঠামো উন্নয়নের করে গিয়েছে। এখন তাকে স্বীকৃতি দিল ইউনেস্কো। এর পরেই তিনি কুর্নিশ জানান সেই সব মানুষকে, যাঁরা বাংলাকে ভালবাসেন, রবীন্দ্রনাথ এবং তাঁর ভ্রাতৃত্বের বার্তাকে ভালবাসেন। তিনি লেখেন, ‘‘জয় বাংলা, গুরুদেবকে প্রণাম।’’ এক্সে ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতির কথা লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদীও। তিনি বাংলায় লেখেন, ‘‘একথা জেনে আনন্দিত হলাম যে, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্ন ও ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মূর্ত রূপ শান্তিনিকেতন উৎকীর্ণ হয়েছে ইউনেস্কোর বিশ্ব পরম্পরা তালিকায়। সব ভারতীয়ের কাছেই এ এক গর্বের মুহূর্ত।’’
উল্লেখ্য, ১৯২১ সালে শান্তিনিকেতনে মানবতার ঐক্যকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়’। বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে বিরাজমান ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক স্থাপত্যের অভিমুখ এবং ইউরোপীয় আধুনিকতা থেকে আলাদা শিক্ষার অভিমুখ শিখিয়েছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়।