নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যে শুরু হয়েছে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখা হবে এবং নতুন ভোটারদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে, কারও নাম বাদ পড়বে কি না, তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগ।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন — “এসআইআর প্রক্রিয়ায় কোনও বৈধ ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে না।”
পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলওরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকার সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি মিলিয়ে দেখবেন। তাঁরা তথ্য যাচাই করে ভোটারদের হাতে দেবেন এনুমারেশন ফর্ম। এই কাজের সময় তাঁদের সঙ্গে থাকবেন বিএলএরা (রাজনৈতিক দলের বুথ এজেন্টরা), যাতে যাচাই প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় থাকে।
ভোটারদের একাংশের প্রশ্ন — বিএলও কখন বাড়িতে আসবেন, তা আগেভাগে জানা সম্ভব কি?
এ প্রসঙ্গে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রতিটি বুথে যিনি বিএলও হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন, তিনি নিজেও সেই বুথ এলাকার ভোটার। ফলে স্থানীয় ভোটার এবং রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের মাধ্যমে তিনি যোগাযোগ রেখে যাচাইয়ের কাজ করবেন। অর্থাৎ, বিএলও এবং বিএলএদের মাধ্যমে ভোটাররা আগেই জানতে পারবেন কবে যাচাই হবে।
মনোজ আগরওয়াল আরও জানিয়েছেন, “যদি কোনও বাড়িতে ভোটার সেই সময় উপস্থিত না থাকেন, তবে পরিবারের অন্য সদস্য তাঁর হয়ে ফর্ম নিতে পারবেন। প্রয়োজনে বিএলও একাধিকবার সেই বাড়িতে যাবেন।”
এছাড়া, যদি কারও নাম খসড়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ যায়, তবে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে লিখিতভাবে কারণ জানানো হবে। এমনকি, প্রযুক্তির সাহায্যে নির্বাচন কমিশনের অ্যাপের মাধ্যমে বিএলওর সঙ্গে সরাসরি দেখা বা যোগাযোগের সুযোগ থাকবে ভোটারদের জন্য।
রাজ্য জুড়ে চলা এই বিশেষ যাচাই প্রক্রিয়া চলবে আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে। নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য — ২০২৫ সালের ভোটার তালিকাকে আরও নির্ভুল ও আধুনিক করে তোলা।