রাজ্যে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর কাজ যতই শেষের দোরগোড়ায় আসছে, ততই বাড়ছে চাপে থাকা ব্লক লেভেল অফিসারদের (বিএলও) উপর চাপ। প্রায় দিনরাত পরিশ্রম করতে হচ্ছে তাঁদের। একই সঙ্গে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের উন্নয়নমূলক কাজও চলছে সমানতালে। এই দুইয়ের ভারসাম্য বজায় রাখতেই নবান্ন থেকে জারি হয়েছে বিশেষ সতর্কবার্তা।
শনিবার নবান্নের ১৩ তলায় জেলাশাসকদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বৈঠকে তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দেন—এসআইআর যেমন চলছে চলুক, কিন্তু কোনও ভাবেই রাজ্যের উন্নয়নমূলক কাজ যেন ব্যাহত না হয়। বিশেষ করে যে প্রকল্পগুলির বরাত আগেই নেওয়া হয়েছে, সেগুলির কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ করতে হবে বলে কড়া বার্তা দেন মুখ্যসচিব।
‘আমার পাড়া-আমার সমাধান’, গ্রামীণ রাস্তা ও ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প নিয়ে আলাদা গুরুত্ব
মুখ্যসচিব উল্লেখ করেন, ‘আমার পাড়া-আমার সমাধান’ কর্মসূচির অধীনে যে উন্নয়ন কাজ চলছে, তার অগ্রগতি দ্রুত জানাতে হবে। পাশাপাশি বর্তমানে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের উপভোক্তা তালিকা তৈরির কাজও চলছে। সূত্রের খবর, জানুয়ারির মধ্যেই এই কাজ শেষ করার লক্ষ্য স্থির করেছে প্রশাসন। সেই সময়সীমা বজায় রাখার উপর বিশেষ জোর দেন মুখ্যসচিব।
গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার-সহ পরিকাঠামোগত কাজ যাতে কোনওভাবেই থমকে না যায়, তাও নিশ্চিত করতে বলেন তিনি।
বিএলও মৃত্যুর ঘটনায় সংবেদনশীল বার্তা
সম্প্রতি এসআইআর-এর অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে যে কয়েকজন বিএলও প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের পাশে থাকার নির্দেশও ফের একবার জেলাশাসকদের মনে করিয়ে দেন মুখ্যসচিব পন্থ।
১০-১২টি দপ্তরের কাজের পর্যালোচনা
বৈঠকে ১০ থেকে ১২টি সরকারি দপ্তরের কাজের অগ্রগতি নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়। তবে মূল ফোকাস ছিল—এসআইআর চললেও উন্নয়নের গতি যেন থেমে না যায়।
রাজ্য প্রশাসনের মতে, এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ—নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে এসআইআর সম্পন্ন করা এবং একই সঙ্গে উন্নয়ন কাজে গতি অটুট রাখা। নবান্নের বার্তা স্পষ্ট—কোনও কাজই থমকে দেওয়া যাবে না।