এই নিয়ে পরপর চার ডিভিশন বেঞ্চ এসএসসি মামলা ফিরিয়ে দিল। মঙ্গলবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল মামলাটি। শেষ পর্যন্ত এই বেঞ্চও মামলা প্রধান বিচারপতির কাছে ফিরিয়ে দিল এসএসসি মামলা। শুধু তাই নয়,
মঙ্গলবার রীতিমতো ভর্ৎসনার সুরেই ডিভিশন বেঞ্চ মামলাকারীর আইনজীবীদের বিচারপতি বলেছেন, ‘নিয়ম মেনে কাজ করুন’। ফলে আপাতত এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির চার সদস্যকে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতেই হবে।
গত শুক্রবার রাজ্য সরকারের তৈরি এসএসসি কমিটির চার সদস্যকে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। এই রায়ের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন উপদেষ্টা কমিটির সদস্যরা। কিন্তু পরপর তিনটি ডিভিশন বেঞ্চ ওই মামলা ফিরিয়ে দেয়। মঙ্গলবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল মামলাটি। তাঁরাও মামলাটি ফিরিয়ে দেওয়ার শেষ পর্যন্ত সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই কার্যকর থাকছে।
প্রসঙ্গত, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলা প্রথমে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে ওঠে। শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক-সহ সকল সদস্যদের সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা প্রথমে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। এবং সেই উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিনহা ডিভিশন বেঞ্চ থেকে রক্ষাকবচ পান। এরপরই ক্ষুব্ধ বিচারপতি চিঠি লেখেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এর জেরেই একের পর এক ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা শুনতে রাজি হচ্ছে না।