পথ দুর্ঘটনায় প্রাণহানি রুখতে আরও কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। প্রতীকী ছবি
সাধনা দাস বসু : পথ দুর্ঘটনায় প্রাণহানি রুখতে রাজ্য সরকার আরও কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই নিয়ে আলোচনা করতে আজ সল্টলেকের নগরায়ণ ভবনে বৈঠকে বসেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা সহ শীর্ষ কর্তারা। বিভিন্ন বাস মালিক সংগঠনের নেতারাও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের পরিবহণমন্ত্রী বলেন, রাস্তায় রেষারেষি ও বেপরোয়া যান চলাচলে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর ফলে কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে চালকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। সেইসঙ্গে লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত, ক্ষতিপূরণ এবং আরও একগুচ্ছ কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। এছাড়াও পথচারীদের সতর্ক হয়ে চলাচল করা, রাস্তা পারাপার ও সিগন্যাল মানার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নজর দিতে প্রচার চালানো হবে। হেলমেট না পড়ে বাইক চালালে এবং অস্বাভাবিক অবস্থায় গাড়ি চালালেও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ ছাড়া আরও কী করা যায় সে বিষয়ে পুলিশ এবং বাস মালিক সংগঠনের কাছ থেকে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, পথ দুর্ঘটনা আটকাতে রাজ্য পুলিশ সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইভ কর্মসূচি নিয়েছে। এবার থেকে রাজ্য জুড়ে পরিবহণ দফতরও এই কর্মসূচিতে অংশ নেবে।
দেশের অন্যান্য শহরের তুলনায় কলকাতা সহ এরাজ্যে পথ দুর্ঘটনা অনেক কম। তবু এই ঘটনা আরো কমাতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বিবেচনা করছে রাজ্যে সরকার। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে এই নতুন প্রযুক্তির বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনগুলিকে বলা হয়েছে, বাস চালকদের কমিশন প্রথা তুলে দিয়ে বেতন পদ্ধতি চালু করার কথা।
বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনগুলির তরফে জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এব্যাপারে রাজ্যে সরকার উপযুক্ত গাইড লাইন দিক।সঠিক পরিকাঠামো থাকলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সল্টলেকে বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় এক স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আজ এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।