আজ (৫ নভেম্বর, ২০২৪) সুপ্রিম কোর্ট ব্যক্তিগত সম্পত্তি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত একটি ঐতিহাসিক রায় প্রদান করেল। সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে প্রতিটি ব্যক্তিগত সম্পত্তি ‘কমিউনিটি রিসোর্স’ বা জনস্বার্থের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না। সুতরাং, সমস্ত ব্যক্তিগত সম্পত্তি জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্র অধিগ্রহণ করতে পারবে না সরকার।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে নয়-সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ ৮-১ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে এই গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করেছে। বেঞ্চে ছিলেন প্রধান বিচারপতি ছাড়াও বিচারপতিরা হৃষীকেশ রায়, বিভি নাগারত্ন, সুধাংশু ধুলিয়া, জেবি পারদিওয়ালা, মনোজ মিশ্র, রাজেশ বিন্দাল, সতীশচন্দ্র শর্মা এবং অগাস্টিন জর্জ মসিহ।
সুপ্রিম কোর্ট রায়ে জানিয়েছে যে ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকার সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত, এবং কেবল জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে সহজেই তা অধিগ্রহণ করা যাবে না। যদিও কিছু ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পত্তি ধারা ৩৯(বি)-এর অধীনে গণ্য হতে পারে, যখন সেই সম্পত্তিগুলি বিশেষভাবে জনস্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
এই মামলাটি ১৯৭৬ সালের মহারাষ্ট্র হাউজিং অ্যান্ড এরিয়া ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্টের অষ্টম অধ্যায়ের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মুম্বইয়ের সম্পত্তি মালিক সমিতি দায়ের করেছিল। এই অধ্যায়টি মাসিক খাজনার একশো গুণ ক্ষতিপূরণ দিয়ে ব্যক্তিগত সম্পত্তি অধিগ্রহণের অনুমতি দেয়। ১৯৯২ সালে প্রাথমিকভাবে পিটিশনগুলি দায়ের করা হয় এবং ২০০২ সালে এই মামলাটি নয় বিচারপতির বেঞ্চে পাঠানো হয়। অবশেষে দুই দশকের বেশি সময় পরে ২০২৪ সালে শুনানি হয় এবং আজ এই রায় প্রদান করা হয়েছে।