নয়াদিল্লি: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছিল। মে মাসের পর আজ, মঙ্গলবার ফের শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। এ দিন শীর্ষ আদালতে পিছিয়ে গেল সেই চাকরি বাতিল মামলার শুনানি।
হাইকোর্টের নির্দেশ ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্বস্তি পান তাঁরা। হাইকোর্ট চাকরি বাতিল করলেও বহাল রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য-অযোগ্যদের চিহ্নিত করে তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। এ দিনের শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, তিন সপ্তাহ পর ফের মামলা উঠবে সুপ্রিম কোর্টে।
প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেছেন, রাজ্য আর স্কুল সার্ভিস কমিশনের বক্তব্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যাবতীয় তথ্য এক জায়গায় আনার জন্য চারজন নোডাল আইনজীবীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আস্থা শর্মা, শালিনী, কুণাল চট্টোপাধ্যায় ও পার্থ সিটকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে। তিন সপ্তাহ পর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিলে এক রায়ে ২০১৬ সালের এসএসসি-র গোটা প্যানেলটাই বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব নয় বলে এসএসসি আদালতে জানানোয় এই নির্দেশ দিতে আদালত বাধ্য হয়েছে বলে জানান বিচারপতিরা। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় এসএসসি। গত ৭ মে সেই মামলার শুনানিতে চাকরি বাতিলের নির্দেশে সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করে সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় নির্দেশে বলেন, ১৬ জুলাই পর্যন্ত সবার চাকরি বহাল থাকবে।