পশ্চিমবঙ্গে ওবিসি শংসাপত্র সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্ট যে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল, তার উপরে সোমবার স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের পরিবর্তে আজ মামলাটি শুনেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই গবইয়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ। রাজ্যের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে করা আবেদনের শুনানিতে শীর্ষ আদালত স্পষ্ট করে জানায়, সংরক্ষণ প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই কার্যকর হতে পারে।
গত জুনে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের ২০১০ সালের পর জারি হওয়া সমস্ত ওবিসি বিজ্ঞপ্তির উপরে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। আদালত জানিয়েছিল, ওই বিজ্ঞপ্তিগুলোর ভিত্তিতে নবনিযুক্ত ওবিসি শংসাপত্র আপাতত বৈধ নয়। ফলে কলেজে ভর্তি ও চাকরি প্রক্রিয়ায় অসংখ্য প্রার্থী সমস্যায় পড়তে পারেন বলে উদ্বেগ তৈরি হয়।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি উঠতেই প্রধান বিচারপতি গবই বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, “আমরা নোটিস জারি করছি। হাই কোর্ট কী ভাবে এই ধরনের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিতে পারে? আমরা অবাক।” তিনি আরও বলেন, সংরক্ষণের বিষয়টি প্রশাসনের অধিকারভুক্ত। ইন্দিরা সাহনী মামলার রায় তুলে ধরে তিনি জানান, সংরক্ষণ কার্যকর করতে আলাদা করে আইন লাগবে না, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তই যথেষ্ট।
এই পর্যবেক্ষণের পর হাই কোর্টের স্থগিতাদেশে স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ফলে আপাতত রাজ্যের ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে কোনও আইনি জটিলতা থাকছে না বলে মনে করা হচ্ছে। তবে মামলার চূড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত বিষয়টি পুরোপুরি নিষ্পত্তি হয়নি। আগামী শুনানিতে মামলার যুক্তি-পাল্টা যুক্তির ভিত্তিতে চূড়ান্ত রায় দেবে শীর্ষ আদালত।