প্রথম পাতা খবর সংগঠনে গতি আনতে তারুণ্যে জোর, ‘বিজেমূল’ তত্ত্ব ভুল ছিল দায় স্বীকার করলেন সূর্যকান্ত

সংগঠনে গতি আনতে তারুণ্যে জোর, ‘বিজেমূল’ তত্ত্ব ভুল ছিল দায় স্বীকার করলেন সূর্যকান্ত

352 views
A+A-
Reset

ডেস্ক: তারুণ্যের ওপর ভর করেই সংগঠনে গতি আনতে চাইছে সিপিআইএম। রাজ্য এবং এরিয়া কমিটির সদস্যদের বয়সের গণ্ডি টেনে দিতে চলেছে আলিমুদ্দিন। বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতায় শুরু হয়েছে সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আলোচনা হয়েছে দলীয় কমিটির সদস্যদের বয়সসীমা বেঁধে দেওয়ার বিষয়ে। কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৭৫ ঊর্ধ্ব, রাজ্য কমিটিতে ৭২ ও জেলা কমিটিতে ৭০ পার হলেই  অবসর নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী যা নিয়ে বৈঠকে শোরগোল ফেলে দেন রাজ্য কমিটির একাংশের নেতানেত্রীরা। প্রসঙ্গত এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরে দলের সংগঠনে ব্যাপক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম।


গতকালের বৈঠকে সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসুদের সঙ্গে ছিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। বিধানসভা নির্বাচনে দলের ব্যর্থতা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। বৈঠকের শুরুতেই ওঠে ‘বিজেমূল’ শব্দটি প্রচারে প্রয়োগের বিষয়টি। সীতারাম ইয়েচুরি প্রশ্ন করেন, কার অনুমতিতে বিজেমূল শব্দ প্রচারে ব্যবহার করা হয়েছিল? হারের কারণ হিসেবে ভুল রণকৌশলকেই তুলে ধরেন তিনি। প্রচারে সিপিএম মানুষের চাহিদাকে তুলে ধরতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন সিপিএম সাধারণ সম্পাদক।  তাতে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র স্বীকার করে নেন যে তৃণমূল এবং বিজেপিকে এক আসনে বসিয়ে ভুল করেছে দল। ভবিষ্যতে প্রচারে বিজেমূল কথা ব্যবহার হবে না বলে জানিয়েছ আলিমুদ্দিন।

আরও পড়ুন: অপসারিত উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সাংসদের সভাপতি মহুয়া দাস

গত বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও আইএসএফের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করেও একটি আসনও পায়নি সিপিএম। সবমিলিয়ে লোকসভা, রাজ্যসভা থেকে শুরু করে বিধানসভাতেও অস্তিত্বহীন বাংলার সিপিএম। এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনে দল কীভাবে এগোতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে সিপিএমের অন্দরে। 


কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য থাকার জন্য বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৭৫ করার পরিকল্পনা করছে সিপিএম। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই প্রস্তাবের পথে হেঁটে রাজ্য স্তরেও বয়সসীমা বাঁধতে চলেছে আলিমুদ্দিন। এদিকে এই বিষয়ে আলোচনার সময় নাকি বৈঠক উত্তপ্ত হয়। একাধিক রাজ্য কমিটির সদস্য ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাদের অধিকাংশের বক্তব্য, সংগঠনে নতুন রক্ত সঞ্চার জরুরি। নতুন মুখকে স্বাগত। কিন্তু নবীন এবং প্রবীণের ভারসাম্য না থাকলে সংগঠনের ক্ষেত্রে তা ক্ষতিকর হতে পারে।

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.