বিরোধী দলনেতার চেয়ার ছাড়ার ঘোষণা করে বড়োসড়ো চমক দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
ডেস্ক: ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচারে এসে বড়ো ঘোষণা করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক এবং রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়ালের প্রচারে এসে তিনি জানান, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বলবেন, প্রিয়ঙ্কা জিতলে চেয়ারটা তাঁকেই দেওয়ার জন্য।
যদুবাবুর বাজারের সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, “কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বলব, প্রিয়ঙ্কা জিতলে আমার চেয়ার ওকে দেওয়া হোক”। তাঁর এই মন্তব্যের পরই হইচই পড়ে যায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। তবে চেয়ার ছেড়ে দেওয়ার মন্তব্যে প্রিয়ঙ্কার ‘ওজন’ বুঝিয়ে বিরোধী দলনেতা সাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, “নন্দীগ্রামে গিয়েছিলেন, মেরেছি ছক্কা, একেবারে বাউন্ডারির বাইরে, এর পর ভবানীপুরে পালিয়ে এসেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে নাকি গলা টিপে ধরা হয়েছিল”।
শুধুমাত্র ভবানীপুরে উপনির্বাচন প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “মমতা না বিধায়ক হলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে বলে দাবি করা হচ্ছে। তা হলে ড. অমিত মিত্রের কী হবে, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কী হবে? তাঁদেরও তো ছ’মাসের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তখন মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হবে। আসলে মুখ্যমন্ত্রী নিজের স্বার্থ ছাড়া আর কিছু ভাবেন না”।
আরও পড়ুন: মমতার প্রশংসা করে কংগ্রেস ছাড়লেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূল-যোগের সম্ভাবনা
এ দিনই বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রচার ঘিরে ধন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে ভবানীপুরে। যদুবাবুর বাজার এলাকায় দিলীপের কর্মসূচিতে হামলা, ধাক্কাধাক্কির অভিযোগ উঠেছে। মাথা ফেটেছে এক বিজেপি কর্মীর। ওই ঘটনার পর যদুবাবুর বাজারের ওই সভায় বক্তৃতা করেন শুভেন্দু।