রাজ্যে ‘স্বাস্থ্যবন্ধু’ প্রকল্প চালুর মাত্র ২০ দিনেই ক্যাম্পে চিকিৎসা নিতে এসে মানুষের সংখ্যা ১ লক্ষের গণ্ডি পেরিয়েছে—বুধবার সমাজমাধ্যমে এমনই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১১ নভেম্বর শুরু হওয়া এই ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা পরিষেবা যে রাজ্যজুড়ে বিপুল সাড়া ফেলেছে, প্রশাসনিক পরিসংখ্যান তা স্পষ্ট করে দিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যে ১১০টি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা ইউনিট পরিষেবা দিচ্ছে এবং খুব শীঘ্রই আরও ১০০টি ইউনিট জনসেবায় যুক্ত হবে। তাঁর কথায়, “এটি আমাদের সরকারের আরেকটি জনবান্ধব উদ্যোগ।” এখন পর্যন্ত ১,০২৭টি শিবির আয়োজন করা হয়েছে, যার অধিকাংশ উপকারভোগী নারী ও প্রবীণ নাগরিক।
চিকিৎসা পরিষেবায় নতুন দিগন্ত ‘স্বাস্থ্যবন্ধু’
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, প্রতিটি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা ইউনিট যেন একটি আধুনিক হাসপাতালের ক্ষুদ্র সংস্করণ। এখানে পাওয়া যাচ্ছে—
- হিমোগ্লোবিন
- কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট
- কিডনি ও লিভার ফাংশন
- কোলেস্টেরল
- প্রেগন্যান্সি টেস্ট
- ইউরিক অ্যাসিড
- ইসিজি
- চেস্ট এক্স-রে
- আল্ট্রাসোনোগ্রাফি
- মোট ৩৫ ধরনের টেস্ট
পরীক্ষার ফল জানিয়ে দেওয়া হয় অল্প সময়ের মধ্যেই। রয়েছে প্রশিক্ষিত নার্স, চিকিৎসক, নেবুলাইজার, ইসিজি ও আল্ট্রাসোনোগ্রাফি মেশিনের বন্দোবস্ত। ফলে জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে মানুষের আর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের দৌড়ঝাঁপ করতে হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই এই শিবিরে ভিড় ক্রমশ বাড়ছে।
বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্যও উদ্যোগের বার্তা
স্বাস্থ্যবন্ধুর সাফল্যের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে সমাজকে মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, “প্রত্যেক মানুষ যেন সমান সুযোগ এবং সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারেন—এই সমাজ গড়ার অঙ্গীকার করি।”
মমতা জানান, বিশেষভাবে সক্ষম নাগরিকদের জন্য রাজ্য সরকার—
- মানবিক পেনশন,
- ছাত্রবৃত্তি,
- কৃত্রিম উপকরণ বিতরণ,
- স্বাস্থ্যসেবা,
- সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ,
- বিশেষ স্কুল,
- ডেভেলপমেন্টাল স্ক্রিনিং,
সহ একাধিক প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা দিচ্ছে।
নবজাতকদের বিকাশগত সমস্যাগুলি প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করতে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। স্কুলগুলিতে বিশেষ শিক্ষার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে, যাতে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুরা তাঁদের দক্ষতা ব্যবহার করে ভবিষ্যতে জীবিকা অর্জন করতে পারেন।
স্বাস্থ্যবন্ধুর সাফল্য এবং বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য ধারাবাহিক উদ্যোগ—রাজ্যে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলিকে আরও শক্তিশালী করছে বলেই মত প্রশাসনিক মহলের।রাজ্যে ‘স্বাস্থ্যবন্ধু’ প্রকল্প চালুর মাত্র ২০ দিনেই ক্যাম্পে চিকিৎসা নিতে এসে মানুষের সংখ্যা ১ লক্ষের গণ্ডি পেরিয়েছে—বুধবার সমাজমাধ্যমে এমনই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১১ নভেম্বর শুরু হওয়া এই ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা পরিষেবা যে রাজ্যজুড়ে বিপুল সাড়া ফেলেছে, প্রশাসনিক পরিসংখ্যান তা স্পষ্ট করে দিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যে ১১০টি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা ইউনিট পরিষেবা দিচ্ছে এবং খুব শীঘ্রই আরও ১০০টি ইউনিট জনসেবায় যুক্ত হবে। তাঁর কথায়, “এটি আমাদের সরকারের আরেকটি জনবান্ধব উদ্যোগ।” এখন পর্যন্ত ১,০২৭টি শিবির আয়োজন করা হয়েছে, যার অধিকাংশ উপকারভোগী নারী ও প্রবীণ নাগরিক।
চিকিৎসা পরিষেবায় নতুন দিগন্ত ‘স্বাস্থ্যবন্ধু’
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, প্রতিটি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা ইউনিট যেন একটি আধুনিক হাসপাতালের ক্ষুদ্র সংস্করণ। এখানে পাওয়া যাচ্ছে—
- হিমোগ্লোবিন
- কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট
- কিডনি ও লিভার ফাংশন
- কোলেস্টেরল
- প্রেগন্যান্সি টেস্ট
- ইউরিক অ্যাসিড
- ইসিজি
- চেস্ট এক্স-রে
- আল্ট্রাসোনোগ্রাফি
- মোট ৩৫ ধরনের টেস্ট
পরীক্ষার ফল জানিয়ে দেওয়া হয় অল্প সময়ের মধ্যেই। রয়েছে প্রশিক্ষিত নার্স, চিকিৎসক, নেবুলাইজার, ইসিজি ও আল্ট্রাসোনোগ্রাফি মেশিনের বন্দোবস্ত। ফলে জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে মানুষের আর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের দৌড়ঝাঁপ করতে হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই এই শিবিরে ভিড় ক্রমশ বাড়ছে।
বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্যও উদ্যোগের বার্তা
স্বাস্থ্যবন্ধুর সাফল্যের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে সমাজকে মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, “প্রত্যেক মানুষ যেন সমান সুযোগ এবং সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারেন—এই সমাজ গড়ার অঙ্গীকার করি।”
মমতা জানান, বিশেষভাবে সক্ষম নাগরিকদের জন্য রাজ্য সরকার—
- মানবিক পেনশন,
- ছাত্রবৃত্তি,
- কৃত্রিম উপকরণ বিতরণ,
- স্বাস্থ্যসেবা,
- সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ,
- বিশেষ স্কুল,
- ডেভেলপমেন্টাল স্ক্রিনিং,
সহ একাধিক প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা দিচ্ছে।
নবজাতকদের বিকাশগত সমস্যাগুলি প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করতে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। স্কুলগুলিতে বিশেষ শিক্ষার সুবিধা বাড়ানো হয়েছে, যাতে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুরা তাঁদের দক্ষতা ব্যবহার করে ভবিষ্যতে জীবিকা অর্জন করতে পারেন।
স্বাস্থ্যবন্ধুর সাফল্য এবং বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য ধারাবাহিক উদ্যোগ—রাজ্যে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলিকে আরও শক্তিশালী করছে বলেই মত প্রশাসনিক মহলের।