প্রায় ১২ ঘণ্টা হতে চলেছে কিন্তু এখনও দাউদাউ করে জ্বলছে চট্টগ্রামের বেসরকারি কন্টেনার ডিপো। রবিবার সকাল পর্যন্ত ওই ডিপো থেকে ১৯ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা। অগ্নিদগ্ধ কমপক্ষে ৪৫০ জন৷ যাদের মধ্যে অনেকের শরীরের ৬০-৭০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গিয়েছে৷ ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুর্ঘটনার সময় কয়েকশো শ্রমিক সেখানে কাজ করছিলেন৷ ফলে শতাধিক শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হন৷ এত বিপুল সংখ্যক অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসায় রবিবার চট্টগ্রামের সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করেছে হাসিনা সরকার৷ বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদেরও আহতদের চিকিৎসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
শনিবার রাত ১১টা৷ চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেনার ডিপোতে আগুন লাগে৷ জানা গিয়েছে, ওই ডিপোতে হাইড্রোজেন পারক্সাইড নামে বিপুল পরিমাণ দাহ্য রাসায়নিক ছিল৷ ফলে একের পর এক বিস্ফোরণে দ্রুত ছড়াতে থাকে আগুন৷ এলাকা ভরে যায় কালো ধোঁয়ায়৷ আরও দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানে৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দমকল ও পুলিশ। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তারা আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে৷ কিন্তু জোরালো হাওয়া ও জলের অভাবে আগুন নেভাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় তাদের৷ আগুন নেভাতে গিয়ে তিন দমকল কর্মীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে৷