ডেস্ক: বিধানসভার উপনির্বাচনের দাবিতে শুক্রবার ফের নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে তৃণমূল। আজ দিল্লিতে তৃমমূলের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এই দাবি জানাবে৷ তৃণমূলের অভিযোগ, সাত বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন না করিয়ে রাজনৈতিক ভাবে তাঁদের অসুবিধার মধ্যে ফেলতে পারে বিজেপি। সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিতেই তৃণমূলের এই তৎপরতা।
গতবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে রাজ্যের ৭টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন করানোর দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সুখেন্দুশেখর রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষদস্তিদার এবং ডেরেক ওব্রায়েন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেবার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক সন্তোষজনক হয়েছে বলে জানিেয়ছিলেন তাঁরা। এবং কমিশন নাকি তাঁদের জানিয়েছেন শীঘ্রই উপনির্বাচন ঘোষণা করা হবে। তার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে বাংলায় টিকার জোগান বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার
রাজ্যে পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের পাশাপাশি দু’টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণও বাকি রয়েছে৷ যে পাঁচটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা, তার মধ্যে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ কারণ নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে পরাজিত হওয়ায় শপথ নেওয়ার ছ’ মাসের মধ্যে যে কোনও একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে৷ নভেম্বর মাসে সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে৷ হাতে সময় থাকলেও দ্রুত উপনির্বাচন করানোর পক্ষে তৃণমূল৷
তৃণমূলের এই তৎপরতার কারণ উপনির্বাচন নিয়ে বিজেপি-র কৌশল৷ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য বিজেপি-র নেতারা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, করোনা অতিমারির মধ্যে এখনই উপনির্বাচনের পক্ষে নয় তারা৷ নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে রাজ্যে শাসক দলকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করা হতে পারে, সেই আশঙ্কা রয়েছে শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মনেও৷