কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রামপুরহাট বগটুই গ্রামের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। শনিবারই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিক অখিলেশ সিংয়ের নেতৃত্বে কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে শুরু হয়েছে তদন্তের কাজ। এদিন সকালেই রামপুরহাট থানা থেকে তদন্তের চার্জ নিজেদের হাতে নিয়েছে সিবিআই। এরপরই কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে তদন্ত শুরু করে তাঁরা। এই তদন্তে রাজ্য সরকার সবরকম সাহায্য করার বার্তা দিয়েও হুঁশিয়ারি দিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস।
শনিবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, ‘সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা করবে তৃণমূল। তবে প্রতিহিংসার রাজনীতির চেষ্টা হলে গণআন্দোলন হবে’। কুণাল ঘোষ এদিন বলেন,’বগটুইয়ের তদন্ত ভালোভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল রাজ্য পুলিশের সিট। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার দরকারই ছিল না’। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ব্যাপারে বেশ কৌশলী অবস্থান নিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেইমতো এবার সিবিআইকে বিঁধতে গিয়ে বগটুই গণহত্যায় বিজেপিকে আষ্টেপৃষ্টে জড়াল তৃণমূল। কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘বিজেপিতে যোগ দিলে আর সিবিআই ব্যবস্থা নেয় না। সিবিআইয়ের এফআইআরে যাদের নাম আছে, যেমন শুভেন্দু অধিকারী, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সিবিআই শুভেন্দুর বাড়িতে যায় না’।
উল্লেখ্য এর আগেও বিজেপি রাজনৈকতিক স্বার্থে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। এদিনও দলের অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষের গলায় সেই প্রতিধ্বনি শোনা গেল। তাঁর কথায়, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার তৎপরতার সঙ্গে সব ব্যবস্থা নিয়েছে। এ-টু জেড সব বিজেপির কেনা। বিজেপি বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিভিন্ন অংশ দিয়ে রাজনৈতক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে। হাথরস, উন্নাও, অসমে সিবিআই হয় না। বাংলার বেলাতেই শুধু সিবিআই’। এরপরই তাঁর হুঙ্কার, বগটুই নিয়ে ফের প্রতিহিংসার রাজনীতি হলে গণআন্দোলনে নামবে তৃণমূল কংগ্রেস।