প্রথম পাতা খবর ‘সরকার ফেলে দেওয়ার প্রস্তাব’ নিয়েই সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের বাড়িতে বিজেপি, দাবি তৃণমূলের

‘সরকার ফেলে দেওয়ার প্রস্তাব’ নিয়েই সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের বাড়িতে বিজেপি, দাবি তৃণমূলের

344 views
A+A-
Reset

কলকাতা: ‘ডিসেম্বরের মধ্যেই রাজ্যের তৃণমূল সরকার পড়ে যাবে’। এমন হুঙ্কার প্রায়শই শোনা যাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্বের মুখে। তৃণমূলের অভিযোগ, সরকার ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে বিজেপি এবং সিপিএম। কালীপুজোয় শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র এবং সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের বাড়িতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতি নিয়ে সেই অভিযোগ আরও জোরালো হল।

তৃণমূলের অভিযোগ, রাজ্যের শাসকদলকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে চক্রান্ত করছে বিজেপি। সরকার ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। তৃণমূলের মুখপত্রে দাবি করা হয়েছে, এই চক্রান্তে বিজেপি-র পাশাপাশি শামিল রয়েছে সিপিএম।

মঙ্গলবার তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ফেলে দেব ডিসেম্বরে, সঙ্গে থাকুন। এই প্রস্তাব নিয়ে সোমবার শিলিগুড়িতে সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের বাড়িতে যান দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত ও একদা অশোক ভট্টাচার্যের ছায়সঙ্গী শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সৌজন্য সাক্ষাৎকারের আড়ালে বাংলা দখলের চক্রান্তে শামিল সিপিএম-বিজেপি”।

এই সাক্ষাৎকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে দাবি করেছেন, শঙ্কর ঘোষ, রাজু বিস্ত। এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “আমি এত ঠুনকো নই। রাজনীতিতে আমার প্রায় ৫৪ বছর হয়ে গেছে।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, কেউ বাড়িতে এলে তাঁকে কি বের করে দেবেন?

অন্য দিকে অশোক ভট্টাচার্যের বক্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মন্তব্য, “উনি বর্ষীয়ান নেতা তো। আসল কারণগুলো বলে দেবেন তা তো হয় না। তাই উনি এ সব কথা বলছেন।”

শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, “বিজেপির সঙ্গে মিলে গেমপ্ল্যান হচ্ছে। অশোকবাবু যদি এখানে বিজেপির স্বঘোষিত অভিভাবক হতে চান তিনি হতে পারেন। উপদেশ না দিয়ে যদি তিনি সরাসরি যোগাযোগ করতে চান তাহলে তা হতেই পারেন। সেই বিষয় নিয়ে আমি কিছুই বলছি না। এদের মধ্যে একটা গভীর বোঝাপড়া রয়েছে”।

এমনকী, এই সাক্ষাৎকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে জল্পনা। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেলা-রাজনীতিতে কোনো নতুন সমীকরণ সামনে আসছে।

আরও পড়ুন: প্রায় ২ ঘণ্টা পরে ফিরল হোয়াটসঅ্যাপ, কী কারণে বিভ্রাট

আরও খবর

মন্তব্য করুন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.