প্রথমে শোনা গিয়েছিল যে, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরবর্তীতে জানা গেল বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে বাংলায় আসবেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার প্রধানমন্ত্রীর এই সম্মেলনে না আসা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। উপনির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির কারণেই যে বাংলায় আসছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সেকথাই উল্লেখ করে মোদীকে কটাক্ষের নিশানা করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কটাক্ষের সুরে তৃণমূল নেতা বলেছেন, ”আসলে লজ্জায় এবার বাংলায় আসছেন না উনি।”
মঙ্গলবার মোদীকে আক্রমণ করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ”কুৎসিতভাবে হেরেছে বিজেপি তাই উনি লজ্জায় আসছেন না। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে একের পর এক নির্বাচনে তৃণমূলের কাছে যেভাবে পর্যুদস্ত হয়েছে বিজেপি, পাশাপাশি তৃণমূলকে যেভাবে উক্ত্যক্ত করা হয়েছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার করে, এবং সব শেষে আসানসোলের উপনির্বাচনে যেভাবে হেরেছে বিজেপি, প্রায় তিনলাখি ভোটে পরাজিত। তাই লজ্জায় মুখ লুকোচ্ছেন মোদি। কোন মুখে আসবেন! ওঁদের মুখে ঝামা ঘষে দেওয়া হয়েছে যে।”
প্রসঙ্গত, এবারের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মলনে উপস্থিত থাকার জন্য দিল্লি সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তার পরেও এবারের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আসছেন না মোদী। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এবারের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মলন আগামী ২০-২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যেই এই আমন্ত্রণপত্র পাঠানো শুরুও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মলনের আমন্ত্রণপত্রে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের নাম থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর নাম কোথাওই নেই। এই প্রেক্ষাপটে মোদীকে যে ভাবে কটাক্ষ করলেন কুণাল, তাতে এই পর্বে নয়া মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
অন্যদিকে, আসানসোলে জয় প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল এই প্রথমবার আসানসোলে জিতল। শুধু তাই নয়, আমরা রেকর্ড ভোটে জিতেছি। বিশ্বাস রাখুন, ভরসা রাখুন। কারও প্ররোচনায় পা দেবেন না। বাংলার মাটি সংস্কৃতির মাটি, সভ্যতার মাটি। আমাদের উপর পুনরায় আস্থা, ভরসা রাখার জন্য মানুষকে স্যালুট জানাই। আসানসোল লোকসভা এবং বালিগঞ্জ বিধানসভা আসনের ভোটারদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তৃণমূল প্রার্থীদের বিপুল ভোট দিয়ে সমর্থন করায় আমি কুর্নিশ জানাই।”