ডেস্ক: রবিবার আগরতলা পুলিশ গ্রেফতার করে তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে। সোমবার বিকেল পৌঁনে ৫টা নাগাদ তাঁকে আগরতলা আদালতে তোলা হয়। আদালত সূত্রে জানা যায়, সায়নীকে দু’দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিল পুলিশ। তবে শুনানির পর সেই আরজি খারিজ করে দেন বিচারক।
পুলিশের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় জোরে গাড়ি চালিয়ে মানুষ মারার চেষ্টা করেছিলেন সায়নী। আগরতলা পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের চেষ্টার অভিযোগে সায়নীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ৩০৭, ১৫৩ এবং ১২০বি ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়।
উল্লেখ্য, গ্রেফতারের পর আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় রাখা হয় সায়নীকে। এ দিন তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলেও তাঁদের থানায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। প্রশাসন জানিয়ে দেয়, শুধু মাত্র আইনজীবীরাই তাঁর কথা বলতে পারবেন। এ দিন আগরতলা আদালতে উপস্থিত ছিল তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন: উত্তপ্ত ত্রিপুরা, তৃণমূল যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে থানায় নিয়ে গেল পুলিশ
জামিন মঞ্জুরের পর আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে সায়নী বলেন, এটা সত্যের জয়। মিথ্যা মামলা করে তাঁকে দমানে যাবে না। একই সঙ্গে তাঁর গুরুতর অভিযোগ, তাঁকে “শারীরিক ভাবে হেনস্থাও করা হয়েছে”। রাতে যে ভাবে “আক্রমণ” করা হয়, তাতে তিনি শঙ্কিত হয়ে পড়েন। তার পর অন্য একটি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে।