আমেরিকায় ফের বন্দুকবাজের হামলার। ১২ ঘণ্টার মধ্যে তিনটি গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২ পড়ুয়া-সহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গোটা আমেরিকাকে নাড়িয়ে দিয়েছে সাম্প্রতিক গুলিবর্ষণের ঘটনা। সব রকমের পদক্ষেপ নেওয়ার পরও মার্কিন মুলুকে বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা থামার নামই নিচ্ছে না। দিনদুয়েক আগে লস অ্যাঞ্জেলেসে বন্দুক বাজেরগুলিতে ১১ জন নিহত হন।
ক্যালিফোর্নিয়ায় চিনা নববর্ষের উৎসবে হামলার পর আবার বন্দুকবাজের দৌরাত্ম্য। আমেরিকার আইওয়া প্রদেশের ডেস মোইনেস শহরের একটি যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সোমবার আচমকাই হানা দেন বন্দুকবাজেরা। সেখানে গুলিতে নিহত দুই ছাত্র ও এক শিক্ষক আহত হয়েছেন। হামলার পর সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
অন্য দিকে, উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার হাফ মুন বে শহরে পৃথক দুটি হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এই হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কয়েক জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
প্রশ্ন উঠছে, কেন বারবার বন্দুকবাজের হামলা ঘটছে আমেরিকায়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এর কারণ একটাই। সেখানকার ‘বন্দুক সংস্কৃতি’। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বন্দুকের দেশ আমেরিকা। করোনা মহামারিতে প্রতি পাঁচ পরিবারের মধ্যে একজন বন্দুক কিনেছে। আমেরিকায় ক্রমবর্ধমান ‘বন্দুক সংস্কৃতি’ গুলি করে খুনের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে।