পাকিস্তানে ফের রক্তাক্ত জোড়া হামলা। রাজধানী ইসলামাবাদ ও সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া— দুই প্রান্তে প্রায় একই দিনে ঘটে বিস্ফোরণ ও জঙ্গি হামলা।
সোমবার দুপুরে ইসলামাবাদের জেলা আদালত চত্বরে ঘটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। স্থানীয় সময় দুপুর নাগাদ আদালতের প্রবেশদ্বারের সামনে বিস্ফোরণের তীব্র শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। স্থানীয়দের দাবি, অনেক দূর পর্যন্ত বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গিয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘ডন’ জানিয়েছে, এই ঘটনায় অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন আহত। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, “আমরা বিস্ফোরণের খবর পেয়েছি। কীভাবে বিস্ফোরণ ঘটেছে তা এখনও নিশ্চিত নয়। আমাদের ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে, রিপোর্টের পরই স্পষ্ট হবে।”
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিস্ফোরকটি আদালতের প্রবেশমুখের কাছে রাখা ছিল। ঘটনার পর গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে পুলিশ ও বোম্ব স্কোয়াড। আদালত চত্বরে উদ্ধার হয়েছে দগ্ধ দেহাংশ ও ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহনের অংশ।
সরকারি সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের পর ইসলামাবাদে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে আশপাশের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, সোমবার রাতে আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সেনা কনভয়ের উপর হামলা হয়। স্থানীয় প্রশাসনের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, “ডেরা ইসমাইল খান জেলার লোনি পোস্টের দিকে ফিরছিল পাক সেনা ও ফ্রন্টিয়ার কোর পার্সোনেলের কনভয়, সেই সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে।”
এই ঘটনায় ১৬ জন নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। আহতদের নিকটবর্তী সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার পেছনে কারা রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পাকিস্তান প্রশাসন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-র ভূমিকা সন্দেহ করছে।