ডেস্ক: এমন অনেক মিরাক্যাল হয়, যা হয়তো যুক্তি দিয়ে বিচার করা যায় না। দু’বছরের শিশু খেলার সময় গিলে ফেলেছিল সাত ইঞ্চির পেরেক। প্রায় ২১ ঘণ্টা শ্বাসনালীতে আটকে ছিল তা। উত্তর দিনাজপুর থেকে মালদহ হয়ে রবিবার ভোরে শিশুটিকে যখন এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৪-৯৫। তাকে বাঁচানোর দায়িত্ব নিল এসএসকেএমের ইএনটি বিভাগ। বিরল অস্ত্রোপচারে নবজন্ম হল উত্তর দিনাজপুরের শিশুটির। ঘটনায় আলোড়ন গোটা রাজ্যে।
এসএসকেএম হাসপাতালে ইএনটি বিশেষজ্ঞ অরুনাভ সেনগুপ্তের নেতৃত্বে চার সদস্যের চিকিৎসক দল দু’ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচার করে ব্রঙ্কোসকপির মাধ্যমে পেরেকটিকে শিশুটির গলা থেকে বের করতে সক্ষম হয়।
উত্তর দিনাজপুর ইটাহার এলাকার ডাংগি হাটগাছি গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল আলির দু বছরের শিশুপুত্র মোস্তাকিম আলি। গতকাল সকালে হঠাৎ করেই খেলতে খেলতে তীব্র শ্বাসকষ্ট ও বমি শুরু হয় তার। কিছু না বুঝতে পেরে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে, সেখান থেকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ পরে সেখান থেকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে যায় শিশুর পরিবার।
আরও পড়ুন: টিকা চেয়ে শ্রীরাম ইনস্টিটিউটকে ইমেল দেবাঞ্জনের, পুলিশের জেরায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
এসএসকেএমের ইএনটি বিশেষজ্ঞ সুদীপ্তা মিত্র বলেন, “ওকে যখন আমাদের কাছে রবিবার ভোরে ভোরে আনা হয় খুবই শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। অক্সিজেন দিয়েও স্যাচুরেশন ৯৪-৯৫’র বেশি উঠছিল না। সঙ্গে সঙ্গে ওটির ব্যবস্থা করে এমার্জেন্সি রিজিড ব্রঙ্কোস্কোপি করে পেরেকটা বের করি। এখন বাচ্চাটি স্টেবল। তবে পর্যবেক্ষণে আছে।”
শিশুটি কার্যত দ্বিতীয় জীবন পেল। এরকম মরচে লাগা বিশাল পেরেক টানা এতটা সময় শ্বাসনালীতে আটকে। আরও বড় বিপদ হতে পারত। কিন্তু আবারও এসএসকেএম প্রমাণ করে দিল তাদের দক্ষতার জোর কতটা।